পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : কভিড পজিটিভ রোগীদের লক্ষণ প্রকাশের ১০ দিন পর্যন্ত আইসোলেশনে থাকার পরামর্শ দিয়েছে কভিড-১৯ জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি। একই সঙ্গে বলেছে, কভিড রোগীর সংস্পর্শে এলেও কারো মধ্যে করোনার উপসর্গ না থাকলে তার কোয়ারেন্টিনের প্রয়োজন নেই। পরামর্শক কমিটি সারা দেশে সবার জন্য বিনা মূল্যে মাস্ক সরবরাহেরও সুপারিশ করেছে। বুধবার সন্ধ্যায় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে কমিটি এই পরামর্শ দেয়।
কভিড-১৯ জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. মো. সহিদুল্লা স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কমিটির ৫৩তম এই সভা জুম প্ল্যাটফর্মে মঙ্গলবার রাত ১০টায় অনুষ্ঠিত হয়। সভায় এই ভাইরাসের সাম্প্রতিক ক্রমবর্ধমান সংক্রমণ বিষয়ে বিস্তারিত বিশ্লেষণ ও আলোচনা হয়। আলোচনা শেষে সভায় সরকারকে পাঁচটি সুপারিশ করা হয়েছে। এগুলো হলো কভিড পজিটিভ রোগীরা লক্ষণ প্রকাশের ১০ দিন পর্যন্ত আইসোলেশনে থাকবে। এ ছাড়া নিশ্চিতভাবে কভিড-১৯ রোগীর সংস্পর্শে এসেছে এমন ব্যক্তি, যাদের কোনো উপসর্গ নেই তাদের কোয়ারেন্টিনের প্রয়োজন নেই। তবে তাদের ‘টাইট মাস্ক’ পরিধান নিশ্চিত করতে হবে।
বিমানবন্দরসহ সব ‘পোর্ট অব এন্ট্রিতে’ (বিদেশ থেকে প্রবেশের বন্দরগুলোতে) সরকারি স্বাস্থ্য নির্দেশনা যথাযথভাবে পালনের লক্ষ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে নজরদারি বৃদ্ধির জন্য কমিটি সুপারিশ করেছে। সব সরকারি হাসপাতালে সার্বক্ষণিক কভিড-১৯ ও নন-কভিড সব রোগীর জরুরি চিকিৎসা নিশ্চিত করতে সুপারিশ করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মন্ত্রিপরিষদের জারি করা প্রজ্ঞাপন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে অংশীদের, যেমন—পরিবহন মালিক সমিতি, দোকান মালিক সমিতি, রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির নেতাসহ সবাইকে সম্পৃক্ত করে পদক্ষেপ গ্রহণের সুপারিশ করা হয়েছে।
পরামর্শক কমিটি জনগণকে মাস্ক পরা নিশ্চিতকরণে সরকারের পক্ষ থেকে সাধারণ জনগণকে বিনা মূল্যে মাস্ক বিতরণের প্রস্তাব করেছে।