নওগাঁয় অবৈধভাবে ধান-চাল মজুদ রাখায় ১০ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা

নওগাঁয় অবৈধভাবে ধান-চাল মজুদ রাখায় ১০ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা

পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম: মজুদ বিরোধী অভিযানে নওগাঁর চারটি উপজেলার ১০টি প্রতিষ্ঠানকে ৫ লাখ ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। গতকাল সোমবার (২২ জানুয়ারি) দিনব্যাপী নওগাঁ সদর, নিয়ামতপুর, সাপাহার ও ধামইরহাট উপজেলার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালিয়ে অবৈধভাবে ধান চাল মজুদ রাখার অপরাধে এ জরিমানা করা হয় এবং সাত দিনের মধ্যে মজুদ করা ধান-চাল বিক্রির মুচলেকা নেয়া হয়।

সোমবার রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এসব তথ্য জানান নওগাঁর জেলা প্রশাসক ও জেলা খাদ্য মনিটরিং কমিটির সভাপতি গোলাম মওলা।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সোমবার নিয়ামতপুর উপজেলার দামপুরা বাজারে অবৈধভাবে ১ হাজার ৮০০ মণ ধান মজুদ করায় জাহাঙ্গীর শেখ নামে এক ব্যক্তিকে ৮০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া একই উপজেলার নিমদীঘি বাজারে সরকারি অনুমোদনের অতিরিক্ত প্রায় ২ হাজার ৫০০ মণ ধান অবৈধভাবে মজুদ করায় রুহুল আমিন নামে এক ব্যক্তিকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।

অপরদিকে, সাপাহার উপজেলায় লাইসেন্সবিহীন ধান মজুদের দায়ে দুইজনকে ১৫ হাজার টাকা এবং ১০ হাজার টাকা করে মোট ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

হাট উপজেলায় লাইসেন্সবিহীন ধান মজুদের দায়ে কৃষি বিপণন আইনে ২ জনকে ২০ হাজার করে মোট ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে ।

এদিকে নওগাঁ সদর উপজেলায় ধান ও চালের অবৈধ মজুদ রাখা ও লাইসেন্সবিহীন রাইস মিল পরিচালনায় ৪ মিল মালিককে ৪টি মামলায় ২ লাখ ৭০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। একই সঙ্গে ৭ দিনের মধ্যে সকল মালিককে মজুদ করা ধান ও চাল বাজারজাতকরণের মুচলেকা নেওয়া হয়। এছাড়া, নওগাঁ সদর উপজেলায় খুচরা বাজারে অভিযান পরিচালনা করে মোটা স্বর্ণা-৫ জাতের চাল সর্বোচ্চ ৪৬ টাকা কেজি দরে বিক্রি করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

অভিযানগুলো পরিচালনা করেন নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) রুপম দাস, সাপাহার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাসুদ হোসেন, নওগাঁ সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) শওকত মেহেদী সেতু ও ধামইরহাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আসমা খাতুন।

নওগাঁর জেলা প্রশাসক ও জেলা খাদ্য মনিটরিং কমিটির সভাপতি গোলাম মাওলা জানান, গত মঙ্গলবার থেকে আজ পর্যন্ত ধান চালের অবৈধ মজুদ বিরোধী অভিযান পরিচালনা করায় ধান চালের বাজার এখন কমতে শুরু করেছে। ধান ও চালের বাজার স্থিতিশীল না হওয়া পর্যন্ত এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *