গাজায় ২৪ ঘণ্টায় প্রাণ গেলো ৩১০ জনের

গাজায় ২৪ ঘণ্টায় প্রাণ গেলো ৩১০ জনের

পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম: ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর নৃশংসতা বন্ধ হচ্ছে না। বাড়িতে বাড়িতে হামাসের সঙ্গে ইসরায়েলি বাহিনীর লড়াই চলছে। ইসরায়েলি সৈন্যরাও নিহত হচ্ছে। তবে ইসরায়েল স্পষ্ট করে কিছু বলছে না। এদিকে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে গাজায় যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব আটকে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। জাতিসংঘ জানিয়েছে, যুদ্ধবিরতি না হলে মিশরে যেতে বাধ্য হবে গাজার উদ্বাস্তুরা।

২৪ ঘণ্টায় প্রাণ গেলো ৩১০ জনের

ইসরায়েলের বিমান, স্থল এবং নৌবাহিনী হামলা অব্যাহত রেখেছে। ইসরায়েলি বাহিনী জানিয়েছে, তারা বাড়িতে বাড়িতে প্রতিরোধের মুখে পড়ছে। হামাসের সঙ্গে তাদের লড়াই চলছে। পুরো খান ইউনিস শহর ইসরায়েলি বাহিনী ট্যাংক দিয়ে ঘিরে রেখেছে। জাবালিয়া শরণার্থী ক্যাম্পও ঘিরে রেখেছে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। এই ক্যাম্পের ভেতর কয়েক হাজার মানুষ আটকা পড়েছে। তাদের কাছে খাবার এবং পানি পর্যন্ত নেই বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।

যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব ফের আটকে গেলো

গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলি অভিযান নিয়ে গোটা বিশ্ব উদ্বিগ্ন। এই সংঘাতে এখনো পর্যন্ত নিহত হয়েছে সাড়ে ১৭ হাজারের বেশি মানুষের। নিহতদের মধ্যে ৭০ শতাংশই শিশু ও নারী। এই প্রেক্ষাপটে রক্তপাত বন্ধে উদ্যোগ নিয়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস। কদাচিৎ ব্যবহৃত আর্টিকেল ৯৯ ব্যবহার করে নিরাপত্তা পরিষদের জরুরি বৈঠক ডাকেন তিনি। সেখানেই যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব পেশ করে সংযুক্ত আরব আমিরাত। ১৫ সদস্যের নিরাপত্তা পরিষদে প্রস্তাবের পক্ষে ভোট পড়ে ১৩টি। ভোটদানে বিরত থাকে ব্রিটেন। তবে ভেটো প্রয়োগ করে সেই চেষ্টা বানচাল করে দেয় পরিষদের স্থায়ী সদস্য আমেরিকা। উল্লেখ্য, আমেরিকা, রাশিয়া, ব্রিটেন, ফ্রান্স ও চীন নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য।

ভেটো প্রয়োগের পক্ষে ওয়াশিংটনের যুক্তি—এই প্রস্তাবে যুদ্ধের ময়দানে পরিস্থিতি কিছুই পালটাবে না। বাস্তব থেকে যোজন দূরে এই প্রয়াস। এটা অর্থহীন। জাতিসংঘে নিযুক্ত মার্কিন উপরাষ্ট্রদূত রবার্ট উড বলেন, ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের শান্তির পক্ষে বরাবর কথা বলে আসছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে এখনই আমরা যুদ্ধবিরতির পক্ষে নই। এখন যুদ্ধবিরতি হলে পরবর্তী যুদ্ধের বীজ বপন করবে। দীর্ঘ মেয়াদে শান্তি স্থাপনের কোনো ইচ্ছা হামাসের নেই। দ্বি-রাষ্ট্র তত্ত্বেও তারা বিশ্বাসী নয়। যুদ্ধবিরতির সুযোগ কাজে লাগিয়ে শক্তি বৃদ্ধি করবে তারা।

—বিবিসি ও আলজাজিরা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *