আঘাত হানতে শুরু করেছে ঘূর্ণিঝড় রিমাল, জলোচ্ছ্বাসের শঙ্কা

আঘাত হানতে শুরু করেছে ঘূর্ণিঝড় রিমাল, জলোচ্ছ্বাসের শঙ্কা

পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : বাংলাদেশ উপকূলে আঘাত হানতে শুরু করেছে ঘূর্ণিঝড় রিমাল। রবিবার (২৬ মে) বিকেল থেকে এর অগ্রভাগ উপকূলে আঘাত হানা শুরু করে।

আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়টি পুরোপুরি মাটিতে উঠে আসতে সন্ধ্যার পর থেকে আরও তিন থেকে চার ঘণ্টা সময় লাগবে।

ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে উপকূলীয় জেলাগুলোতে ৮-১২ ফুট জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কা করছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক বলেন, “দুপুর থেকেই রিমালের অগ্রভাগের প্রভাব শুরু হয় বাংলাদেশ উপকূলে। সন্ধ্যা নাগাদ ঘূর্ণিঝড়টি উপকূল অতিক্রম শুরু করবে।”

সন্ধ্যা ছয়টা থেকে পরবর্তী তিন চার ঘণ্টায় ভূভাগ অতিক্রম করবে ঘূর্ণিঝড় রিমালের কেন্দ্র। ঝড়টি মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে ২০০ কিলোমিটার দূরে রয়েছে।

এরই মধ্যে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে পটুয়াখালীতে একজন পানিতে ডুবে মারা গেছেন। মোংলায় ট্রলার ডুবিতে মারা গেছেন তিনজন।

ঝড় ও ভারি বৃষ্টির কারণে চট্টগ্রাম, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান এলাকায় পাহাড় ধ্বসের আশঙ্কা করছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

ঝড়ের প্রভাবে এরই মধ্যে প্লাবিত হতে শুরু করেছে উপকূলের নিম্নাঞ্চল। আশ্রয় কেন্দ্রে যেতে মাইকিং করা হলেও এখনো অনেকে বাড়িঘর ছাড়েননি বলে জানা গেছে।

রিমালের সবচেয়ে বেশি প্রভাব দেখা গেছে মোংলা ও সুন্দরবন এলাকায়। সুন্দরবনের করমজল বন্যপ্রাণী প্রজননকেন্দ্র ও পর্যটন কেন্দ্রটি ডুবে গেছে পাঁচ ফুট পানির নিচে।

করমজল বন্যপ্রাণী প্রজননকেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আজাদ কবির বলেন, “দুপুরের পর থেকে দমকা বাতাসের সাথে পানিও বাড়তে শুরু করেছে। এ কারণে এই প্রজনন কেন্দ্রে থাকা বন্যপ্রাণীগুলো ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।”

এরই মধ্যে খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বরগুনা, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী এলাকার প্রতিটি নদী ও খালে স্বাভাবিকের চেয়ে কয়েক ফুট বেশি পানি বেড়েছে।

আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, রিমালের মূলভাগ উপকূলীয় এলাকা অতিক্রম করার সময় ৮-১২ ফুট জলোচ্ছ্বাস হতে পারে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে, বাধ ভেঙে পানি উঠতে পারে এমন আশঙ্কার জায়গা থেকে ৮০০’র মতো জিও ব্যাগ প্রস্তুত রেখেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।

Related Articles