পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম: ঘূর্ণিঝড় হামুনের কারণে ঢাকা (সদরঘাট) থেকে দেশের উপকূলীয় অঞ্চলসহ সারা দেশের লঞ্চ চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ঢাকার সঙ্গে সব রুটের লঞ্চ চলাচল বন্ধ থাকবে।
মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) বিকেল থেকে সদরঘাট থেকে কোনো লঞ্চ ছেড়ে যাচ্ছে না বলে জানা গেছে।
বাংলাদেশ অভ্যান্তরীণ লঞ্চ মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারী বলেন, ‘আজ (মঙ্গলবার) বিকেল থেকে উপকূলসহ সারা দেশের সঙ্গে ঢাকার (সরদঘাট) লঞ্চ যোগাযোগ বন্ধ ঘোষণা করেছে বিআইডাব্লিউটিএ।
সেই নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা লঞ্চ চলাচল বন্ধ রেখেছি।’
তিনি আরো বলেন, উপকূল এলাকায় যে লঞ্চগুলো আছে, তাদেরকে সেখানে থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশনা পেলে লঞ্চ চলাচল স্বাভাবিক হবে।
মঙ্গলবার বিকেল থেকেই উপকূলীয় এলাকায় লঞ্চ চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।
লক্ষ্মীপুর-ভোলা-বরিশাল নৌ রুটে লঞ্চ চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। একই সঙ্গে লক্ষ্মীপুর-ভোলা রুটের ফেরি চলাচলও বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। এ ছাড়া লক্ষ্মীপুরের মজুচৌধুরীরহাট ঘাট থেকে স্পিডবোটসহ অন্যান্য নৌযান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে জেলা প্রশাসন।
চাঁদপুর-ঢাকাসহ আরো কয়েকটি নৌপথে যাত্রীবাহী লঞ্চ চলাচল বন্ধ আছে।
বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘হামুন’ অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়েছে। এটি আজ মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে স্থলভাগ স্পর্শ করতে পারে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক মো. আজিজুর রহমান।
আজ দুপুর ৩টার দিকে প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড়ের অগ্রভাগ আজ মঙ্গলবার রাত ১০টায় স্থলভাগ স্পর্শ করতে পারে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্র স্থলভাগ অতিক্রম করতে পারে।
তিনি আরো জানান, সব মিলিয়ে এটি তিন থেকে পাঁচ ঘণ্টা স্থলভাগে অবস্থান করতে পারে। আঘাতের সময় বাতাসের গতিবেগ ৭৫ থেকে ৯০ কিলোমিটার থাকতে পারে।