ধর্মীয় বিশ্বাস প্রকাশিত হয়- সরকারি কর্মচারীদের এমন পোশাক পরিধানে এখন থেকে চাইলে নিষেধাজ্ঞা দিতে পারবে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) দেশগুলো। ইইউর সর্বোচ্চ আদালত এ রায় দিয়েছেন। ফলে ইউরোপীয় দেশগুলোতে সরকারি কর্মচারীদের জন্য হিজাব নিষিদ্ধ হতে পারে।
এই ইস্যুতে গত কয়েক বছর ধরে বিভক্ত ইউরোপ।
বেলজিয়ামের পূর্বাঞ্চলের পৌরসভা আন্সের এক কর্মীকে কর্মক্ষেত্রে হিজাব পরতে নিষেধ করলে তিনি ইইউর বিচার আদালতে মামলা করেন।
পৌরসভাটি পরবর্তীতে কর্মীদের নীতিমালাতেও নিরপেক্ষতা বজায় রাখার স্বার্থে কোনো ধরনের ধর্মীয় বা আদর্শিক সঙ্কেত বহন করে এমন পোশাক পরা থেকে বিরত থাকার বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করে।
নিজের ধর্মীয় স্বাধীনতা ক্ষুণ্ন হয়েছে বলে মনে করায় বিষয়টি আদালতে তুলেছেন বলে জানিয়েছেন সেই নারী কর্মী।
মাথা ও কাঁধ ঢেকে রাখতে সাধারণত “ইসলামিক হেড স্কার্ফ”, অর্থাৎ হিজাব ব্যবহার করে থাকেন মুসলিম নারীরা। এটা পরার অধিকার নিয়ে গত কয়েক বছর ধরে ইউরোপে ব্যাপক আলোচনা চলছে।
বিচার আদালত জানিয়েছে, নিরপেক্ষতা প্রদর্শনের স্বার্থে গৃহীত নীতিকে আইনিভাবে গ্রহণের সুযোগ রয়েছে। তবে, যদি কোনো কর্তৃপক্ষ সাধারণ বিশ্বাসের ইঙ্গিত মেলে এমন কিছু পরার অনুমতি দিলে তাও ন্যায়সঙ্গত হবে।
আদালত জানিয়েছে, ইইউ সদস্য রাষ্ট্রগুলোর জনসেবা নিশ্চিতের ক্ষেত্রে নিরপেক্ষতা বজায় রাখার বিষয়টি নিশ্চিত করতে নিজেদের বিচক্ষণতা প্রয়োগের সুযোগ রয়েছে। তবে, সেটা সামঞ্জস্যপূর্ণ এবং পদ্ধতিগত হতে হবে এবং এক্ষেত্রে কোনো পদক্ষেপ নেওয়ার ক্ষেত্রে তা আসলেই প্রয়োজনীয় কি-না সেটিও বিবেচনায় আনতে হবে।
আর এসব মানা হয়েছে কি-না তা যাচাইয়ের দায়িত্ব জাতীয় আদালতের বলেও জানিয়েছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের সর্বোচ্চ আদালত।