গাজায় ময়দা বিতরণের লাইন-আবাসিক এলাকায় হামলা, নিহত ৫০

গাজায় ময়দা বিতরণের লাইন-আবাসিক এলাকায় হামলা, নিহত ৫০

পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : গাজাজুড়ে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় গত ২৪ ঘণ্টায় অন্তত ৫০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরও অনেকে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা গেছে।

সংবাদমাধ্যমটি জানায়, সোমবার (৯ ডিসেম্বর) দক্ষিণাঞ্চলীয় রাফাহ শহরে ইসরায়েলি হামলায় নিহত হয়েছেন অন্তত ১০ জন। ময়দা কেনার জন্য লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা মানুষদের ওপর এই হামলা চালানো হয়।

অন্যদিকে, একই দিন সকালে উত্তর গাজায় জাবালিয়া শরণার্থীশিবিরে হামলা চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। ড্রোন থেকে ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্রে নিহত হন তিনজন। গত ৬৫ দিন ধরে জাবালিয়া এলাকা ইসরায়েলের দখলে। এই অঞ্চলের হাজার হাজার ফিলিস্তিনি খাবার ও পানির সরবরাহ থেকে বঞ্চিত অবস্থায় রয়েছে।

গাজার দেইর আল-বালাহ এলাকা থেকে আল জাজিরার সাংবাদিক হানি মাহমুদ জানান, খাবারের সন্ধানে বাড়ি থেকে বের হয়ে পার্শ্ববর্তী এলাকায় যেতে চাইলে ড্রোন হামলার শিকার হন কয়েকজন। নিহতদের মরদেহ এখনো রাস্তায় পড়ে রয়েছে। বোমা হামলার আশঙ্কায় মরদেহ সরানোও সম্ভব হচ্ছে না।

মধ্য গাজায় আল-আকসা হাসপাতালের বাইরে থেকে আল জাজিরার আরেক সাংবাদিক জানান, বুরেজ শরণার্থীশিবিরের এক আবাসিক ভবনে ইসরায়েলি হামলায় নিহতদের মরদেহ হাসপাতালের মর্গে নেওয়া হয়েছে। হামলায় এক পরিবারের ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু।

গাজার উত্তরাঞ্চলীয় কামাল আদওয়ান হাসপাতালের প্রধান হুসসাম আবু সাফিয়া বলেন, বিদ্যুৎ, অক্সিজেন ও পানি সরবরাহ বন্ধ থাকায় শতাধিক রোগীর জীবন বিপন্ন। এমন পরিস্থিতিতে মানবিক সাহায্য অপরিহার্য।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন হামলার পর থেকে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। ইসরায়েলি এই হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থীশিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে।

ইসরায়েলি হামলায় গাজায় নিহতের সংখ্যা এরই মধ্যে ৪৪ হাজার ৭০০ ছাড়িয়েছে। আহত হয়েছে ১ লাখ ৬ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি। এছাড়া বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন ২০ লাখেরও বেশি বাসিন্দা।

সূত্র: আল জাজিরা

Related Articles