পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম: আন্দামান সাগরে থাকা লঘুচাপটি গতকাল বুধবার সুস্পষ্ট লঘুচাপে রূপ নিয়েছে। গতকাল রাত পর্যন্ত এটি বাংলাদেশ থেকে অনেক দূরে দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও দক্ষিণ আন্দামান সাগর এলাকায় অবস্থান করছিল। লঘুচাপটি আরো ঘনীভূত হয়ে আজ বৃহস্পতিবারের মধ্যে নিম্নচাপে রূপ নিতে পারে এবং ঘূর্ণিঝড়ও হতে পারে। ঘূর্ণিঝড় হলেও তা বাংলাদেশের দিকে আসবে কি না সে ব্যাপারে নিশ্চিত নন আবহাওয়াবিদরা।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক বলেন, ‘লঘুচাপের ভবিষ্যৎ এখনো নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না। ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেওয়ার পর মোটামুটি বোঝা যাবে। এখন পর্যন্ত এর নির্দিষ্ট কোনো গতিপথ বলা মুশকিল। সুস্পষ্ট লঘুচাপটি এখনো বাংলাদেশ থেকে অনেকটা দূরে আছে।
স্থলভাগে উঠলে এর প্রভাবে ৬ বা ৭ ডিসেম্বরের দিকে উপকূলীয় অঞ্চলে বৃষ্টি হতে পারে। এমনকি বাংলাদেশের দিকে না এসে এটি অন্যদিকে গেলেও আমাদের এদিকে কিছু বৃষ্টিপাত হতে পারে।’
সুস্পষ্ট লঘুচাপটি আজ বৃহস্পতিবারের মধ্যে নিম্নচাপ ও ২ ডিসেম্বরের মধ্যে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে বলে জানিয়েছে ভারতের আবহাওয়া অধিদপ্তর (আইএমডি)। আইএমডি গতকাল তাদের ওয়েবসাইটে জানিয়েছে, দক্ষিণ আন্দামান সাগরে সৃষ্ট লঘুচাপটি নিম্নচাপে পরিণত হয়ে উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হয়ে ২ ডিসেম্বরের মধ্যে দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে থাকা অবস্থায় ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে।
কানাডার সাসকাচোয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া ও জলবায়ু বিষয়ক পিএইচডি গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ গতকাল জানিয়েছেন, লঘুচাপটি বর্তমানে যে স্থানে রয়েছে, সেখানে ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির জন্য খুবই অনুকূল পরিবেশ বিরাজ করছে। সেখানে সমুদ্রের পানির তাপমাত্রা ২৯ থেকে ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সমুদ্রপৃষ্ঠের ওপরে বাতাসের গড় গতিবেগ ঘণ্টায় ২৫ থেকে ৩০ কিলোমিটার।
লঘুচাপটি ১ ডিসেম্বরের মধ্যে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ২ ডিসেম্বর থেকে এটি বর্তমান অবস্থান থেকে উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে থাকবে ও এরপর দিক পরিবর্তন করে উত্তর-পূর্ব দিকে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার উপকূল দিয়ে অগ্রসর হওয়ার সম্ভাবনা নির্দেশ করছে প্রধান আবহাওয়া পূর্বাভাস মডেলগুলো।
লঘুচাপের প্রভাবে দেশে পুরোপুরি শীত পড়তে কিছুটা বিলম্ব হতে পারে।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, আগামী শনিবার পর্যন্ত অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। দিন ও রাতের তাপমাত্রা থাকতে পারে অপরিবর্তিত।