পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : পঞ্চগড়ে শৈত্যপ্রবাহ নেই। তবে চারদিন ধরে মেঘলা আকাশ ও কুয়াশার কারণে ঠিকমতো দেখা মেলেনি সূর্যের। সাথে উত্তরের হিমশীতল বাতাসে বেড়েছে শীতের প্রকোপ। দেখা দিয়েছে জনদুর্ভোগ। রাতের তাপমাত্রা কিছুটা বাড়লেও দিনের তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় কনকনে শীত অনুভূত হচ্ছে সর্বত্র।
শুক্রবার সকাল ৯টায় সর্বনিম্ন ১১ দশমিক ৯ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড করে তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিস। বৃহষ্পতিবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১২ দশমিক ২ ডিগ্রি। দিনের তাপমাত্রা আরও কমে রেকর্ড করা হয় ১৬ ডিগ্রি। বুধবার দিনের তাপমাত্রা ছিল ১৬ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এদিকে মঙ্গলবার থেকে রাতে ঘনকুয়াশা আর দিনে আকাশ মেঘাচ্ছন্ন হয়ে থাকছে। ঠিকমতো সূর্যের দেখা না মেলায় শীতের তীব্রতা যেন বেড়েই চলেছে। শুক্রবারও দিনভর সূর্যের দেখা মিললেনি। শিরশির বাতাসের দুর্ভোগ বেড়েছে ছিন্নমূল ও খেটে খাওয়া মানুষের। সকালে কাজে যেতে পারছেন না দিনমজুরসহ রিকশাভ্যান চালকরা।
উপজেলা সদরের শিংপাড়া এলাকার কৃষি শ্রমিক জাবেদুর রহিম বলেন, আমাদের প্রতিদিন ভোরের দিকে কাজের জন্য ক্ষেতে যেতে হয়। কিন্ত ঠান্ডার কারণে হাত পা অবশ হয়ে আসে। ঠিকমতো কাজ করতে পারি না।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ বলেন, বর্তমানে শৈত্যপ্রবাহ নেই। তবে দিনে মেঘাচ্ছন্ন আকাশ আর রাতে ঘনকুয়াশা থাকছে। চারদিন ধরে সূর্যের উত্তাপ নেই কিন্ত বাতাস রয়েছে। কুয়াশার সাথে ৮ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস প্রবাহিত হওয়ায় শীতের প্রকোপ বেড়েছে। শুক্রবার সকাল ৯ টায় সর্বনিম্ন ১১ দশমিক ৯ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড করে তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিস। বৃহষ্পতিবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১২ দশমিক ২ ডিগ্রি। দিনের তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১৬ ডিগ্রি। বুধবার দিনের তাপমাত্রা ছিল ১৬ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।