মৃত্যুর মুখে হাসপাতালের শিশুরাবিদ্যুতের অভাব, গোলার আঘাতসহ নানা কারণে গাজা সিটির বৃহত্তম হাসপাতাল আল-শিফা কার্যত অচল। সেখানকার নবজাতক শিশুরা মৃত্যুর মুখে।
ইসরায়েলি বাহিনীর অব্যাহত হামলার মুখে হাসপাতালে থাকা রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন গাজা উপত্যকার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আশরাফ আল-কুদরা। তিনি বলেন, আল-শিফার শিশু পরিচর্যা কেন্দ্রের লাইফ সাপোর্ট মেশিন অচল হয়ে পড়ায় কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে। ৩৭টি শিশু মৃত্যুর ঝুঁকিতে রয়েছে।
হাসপাতালগুলোর মহাপরিচালক মোহাম্মদ জাকুত বলেছেন, শিশুসহ প্রায় সাড়ে ছয় শ রোগীর জীবন ঝুঁকিতে রয়েছে।
এদিকে আল-শিফা হাসপাতাল প্রাঙ্গণ ও আশপাশে কয়েক ডজন লাশ পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের এক কর্মকর্তা।
গাজার হাসপাতালগুলোর মহাপরিচালক মোহাম্মদ জাকুত বলেন, ‘আমরা লাশগুলো দাফন করতে বলেছিলাম।
আল-শিফা হাসপাতালের প্রধান শল্যচিকিৎসক মারওয়ান আবুসাদা বলেন, হাসপাতালের চারপাশে গোলাগুলি ও বোমা বর্ষিত হচ্ছে। কেউ বের হতে বা ঢুকতে পারছে না। যারা বের হওয়ার চেষ্টা করেছে, তারা গুলিবিদ্ধ হয়েছে। কেউ মারা গেছে, কেউ আহত হয়েছে।
হাসপাতাল থেকে উচ্ছেদের অভিযোগ
ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্যমন্ত্রী মাই আল-কাইলা বলেন, হাসপাতালে থাকা আহত ব্যক্তি ও রোগীদের জোর করে রাস্তায় ফেলে অনিবার্য মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। হাসপাতালগুলোতে বিপর্যয় শুরু হয়েছে। চিকিৎসার অভাবে রোগীরা মারা যাচ্ছে। আল-রানতিসি ও টার্কিশ হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়া তিন হাজার রোগীকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেওয়া হয়েছে।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, আল-শিফা হাসপাতালে কর্মরত নিজেদের কর্মীদের সঙ্গে তাদের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। লড়াইয়ের মধ্যে আটকে পড়া কর্মী ও রোগীদের নিরাপত্তা নিয়ে সংস্থাটি উদ্বিগ্ন।
ইসরায়েলের অভিযোগ, আল-শিফা হাসপাতালের নিচে থাকা সুড়ঙ্গে হামাসের আস্তানা আছে। তবে বরাবরই এই অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে হামাস।
সূত্র : আলজাজিরা, বিবিসি