অনুমতি না মেলায় জিপির ই সিম এখনই চালু হচ্ছে না

অনুমতি না মেলায় জিপির ই সিম এখনই চালু হচ্ছে না

পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসির অনুমোদন না পাওয়ায় গ্রামীণফোনের ই সিম চালুর প্রক্রিয়া আটকে গেছে। চলতি মাসের ৭ তারিখ থেকে দেশে প্রথমবারের মত ই সিম চালুর ঘোষণা দিয়েছিল গ্রাহক বিচারে দেশের সবচেয়ে বড় মোবাইল ফোন অপারেটরটি।

ওই দিন থেকে নির্দিষ্ট প্রক্রিয়ায় নিবন্ধনের মাধ্যমে গ্রাহকরা ই সিম নম্বর নিতে পারবেন বলে জানিয়েছিল গ্রামীণফোন (জিপি)।

তবে সিস্টেম চালু থাকার পরও কিছু অনিবার্য পরিস্থিতির কারণে ই সিম চালুর প্রক্রিয়া স্থগিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন গ্রামীণফোনের হেড অব কমিউনিকেশনস খায়রুল বাশার।

“সংশোধিত তারিখ চূড়ান্ত করতে আমরা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করছি।’

এ বিষয়ে বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশনের (বিটিআরসি) সিস্টেমস অ্যান্ড সার্ভিসেস বিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাসিম পারভেজ জানান, বিটিআরসির সঙ্গে আলোচনা না করেই ই সিম চালুর ঘোষণা দিয়েছিল গ্রামীণফোন।

“আমাদের কাছে গ্রামীণফোন প্রস্তাব দিয়েছে। আমরা তাদের সাথে আলোচনা করেছি। একটা টেকনোলোজি না জেনে তো আমরা অনুমতি দিতে পারি না।“

ই সিম নতুন একটি প্রযুক্তি জানিয়ে তিনি বলেন, “এটাকে আমরা স্বাগত জানাই। তবে অন্যান্য অপারেটরদের কথাও চিন্তা করতে হবে। বাকি অপারেটরগুলো যদি বলে এটা হলে তাদের ক্ষতি হয়ে যাবে, সেটা আমাদের দেখতে হবে।

“তবে আমরা ই-সিমকে পজিটিভভাবেই দেখছি। পৃথিবীর অন্যান্য দেশ করলে আমরা পিছিয়ে থাকব কেন? আশা করি, আমরা বিষয়টি পর্যালোচনার করে অনুমতি দেব।”

ই সিম কী?

ই সিম হল ‘এমবেডেড সাবস্ক্রাইবার আইডেনটিটি মডিউল’। এ জন্য আলাদা করে কোনো সিম কার্ড কিনতে হবে না। অর্থাৎ প্রচলিত প্লাস্টিক সিম কার্ড ছাড়াই গ্রাহকরা পাবেন মোবাইল সংযোগের সুবিধা।

এর আগে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে মোবাইল অপারেটর গ্রামীণফোন জানিয়েছিল, নতুন ই সিম সংযোগ পেতে হলে ক্রেতাদের ই সিম সমর্থন (সাপোর্ট) করে এমন ডিভাইস নিয়ে গ্রামীণফোনের এক্সপেরিয়েন্স সেন্টারে (ঢাকা ও চট্টগ্রাম) যেতে হবে।

বাজারে ই সিম সমর্থিত স্মার্টফোন কোনগুলো?

সেখানে বায়োমেট্রিক নিবন্ধন প্রক্রিয়া শেষে ইসিমের জন্য অনুরোধ করতে হবে। সিম কেনার প্রক্রিয়া অনুসরণ করে, গ্রামীণফোনের অনলাইন শপের মাধ্যমেও ইসিমের জন্য অনুরোধ করা যাবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গ্রামীণফোনের নতুন ই সিম সংযোগ পেতে হলে ক্রেতাদের ই সিম সমর্থন (সাপোর্ট) করে এমন ডিভাইস থাকতে হবে।

সেই ডিভাইসে ইন্টারনেট সংযোগের মাধ্যমে কিউআর কোড স্ক্যান করে ই-সিম সক্রিয় করা যাবে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *