অবিক্রিত মওসুমী ফল অনলাইনে বেচাকেনার চিন্তা

অবিক্রিত মওসুমী ফল অনলাইনে বেচাকেনার চিন্তা

অবিক্রিত মওসুমী ফল অনলাইনে বেচাকেনার চিন্তা

পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম :: অনলাইনে ফল বিক্রির উদ্যোগকে স্বাগত জানানো উচিত। এদিকে রাজশাহীতে ১৫ মে আম গুটিজাতের আম নামানোর কথা থাকলেও পরিপক্ব না হওয়ায় নামানো হয়নি। আমচাষি ও ব্যবসায়ীরা বলছেন, পরিপক্বতা না আসায় তারা আম নামাচ্ছেন না। আমের আঁটি শক্ত হতে আরও সপ্তাহখানেক অপেক্ষা করতে হবে।

গোপাল ভোগ, রাণী প্রসাদ, লক্ষণ ভোগ এবং হিম সাগর নামার কথা ২ জুন। এছাড়া ল্যাংড়া, আম্রপালি ও ফজলি ১৬ জুন এবং আশ্বিনা নামানো শুরু হবে ১ জুলাই থেকে। ফলে চাষিদের শঙ্কা বেড়েই চলেছে। চাষিরা সংশ্লিষ্ট জেলার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরে উদ্বেগের কথাও জানিয়েছেন।

বর্তমানে করোনার কারণে এসব মৌসুমি ফলের ক্রেতা নেই বলা চলে। পরিবহন সংকটের কারণে সারাদেশে প্রায় ৭ শতাংশ আম ও লিচুর বাগান অবিক্রিত রয়ে গেছে।

আম ও লিচু যেন সঠিকভাবে বিক্রি হয় সেজন্য সংশ্লিষ্ট অধিদফতরে যোগাযোগ করছেন চাষিরা। সঠিকভাবে সারাদেশে আম লিচু সরবরাহের জন্য অনলাইনের মাধ্যম ব্যবহারের চিন্তা করা হচ্ছে। যেন অনলাইনের মাধ্যমে সারাদেশে আম ও লিচু বিক্রি করা যায় এবং চাষিরা সঠিক দাম পান।

রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক শামসুল হক বলেন, করোনা সংকট মোকাবিলায় এবং আম-লিচু চাষিদের বাঁচাতে অনলাইনে আম ও লিচু বিক্রি করা হবে। অনলাইনে আম চলে যাবে বিকাশে চাষির কাছে টাকা চলে আসবে। ডিজিটাল ভাবে চাষির আম-লিচু বিক্রি করার জন্য সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে। বর্তমানে অনেক শিক্ষিত ছেলেরা বেকার আছে। যারা ডিজিটালভাবে অনেক সাউন্ড এদের আমরা কাজে লাগাবো।

শুধু আম নয় লিচুর ক্ষেত্রে বেশি ভয়ে আছেন চাষিরা। লিচু সাধারণত ২০ মে থেকে শুরু হয়ে ২০ জুনের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে। এই সময়ের মধ্যে করোনা সংকট থাকবে। যেমন অল্প সময়ের মধ্যেই বাজারে আসবে নারায়ণগঞ্জের কদমি লিচু। এরপরে আসবে পাতি লিচু ও চায়না-৩ লিচু।

মেহেরপুর জেলায় ডালে ডালে থোকা থোকা লিচুতে ভরে গেছে গাছ। স্থানীয় মোজাফফর জাতের সঙ্গে বোম্বাই ও চায়না জাতের লিচু চাষ এবার মেহেরপুরে বেড়ে গেছে। ডালে ডালে লিচু থাকলেও চাষির মুখে হাসি নেই।

আম-কাঁঠালের চেয়ে লাভজনক হওয়ায় মেহেরপুর জেলায় ৬২০ হেক্টর জমিতে লিচু চাষ হয়েছে। আম চাষ হচ্ছে ২৩ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে। প্রতি হেক্টর জমিতে ১৩ টন আম ও লিচু হবে সাড়ে চার টন। যা থেকে ৩৫ কোটি টাকার বেচাকেনা হবে বলে আশা করছিল কৃষি বিভাগ এবং চাষিরা। তবে করোনা ভাইরাসের কারণে মিলছে না চাষিদের সেসব হিসাব। শঙ্কার কথা চাষিরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বরাবর জানিয়েছেন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *