অর্থনীতিকে সচল রাখতে হার না মানুক জীবন
মাসউদুল কাদির : সুন্দর জীবনের জন্যই আমাদের প্রতিনিয়ত লড়াই। আমরা হার মানতে চাই না। হার না মানা লড়াই আমরা করেছি একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময়। এখন করোনার বিরুদ্ধে নিজে বাঁচতে এবং সমাজের মানুষকে বাঁচাতে আমরা লড়াই করে যাচ্ছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই হার না মানার সাহসি বার্তা দিয়েছেন আবারও। তবে তিনি দেশবাসীকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বানও জানিয়েছেন। সতর্ক থাকতে নির্দেশ দিয়েছেন। আমরা পথে নামছি, অর্থনৈতিকভাবে যেনো বিপর্যয় ঠেকাতে পারি। মহান আল্লাহর মেহেরবানীতে এখনো দেশের অর্থনীতি এগিয়ে চলেছে নির্ধারিত লক্ষ্যের দিকে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জীবন চলতে থাকবে, জীবন স্থবির থাকতে পারে না। তারপরেও সবাইকে স্বাস্থ্যবিধিটা মেনে চলার আহ্বান জানাচ্ছি। করোনা ভাইরাসের কারণে আমাদের উন্নয়নে অনেকটা ব্যাহত হচ্ছে। কিন্তু তারপরেও আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি ধারাবাহিকতা বজায় রেখে যতটুক সম্ভব উন্নয়নের গতিটা ধরে রাখতে।
এটা সত্য, কেবল বাংলাদেশই আক্রান্ত নয়। বিশ্বজুড়ে সোমবারের খবরে কোটি ছুঁই ছুঁই আক্রান্ত বিশ্বে। এখন লাখ লাখ মৃত্যুর ঘটনা যেনো স্বাভাবিক হয়ে পড়েছে। বাংলাদেশেও আক্রান্ত ও মৃত্যুর পাল্লা যেনো ভারী হতে চলেছে। এরই মধ্য দিয়ে কিছু কিছু আশার কথাও শোনা যাচ্ছে। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক করোনা পজেটিভ থেকে নেগেটিভ হয়েছেন। এই বয়োবৃদ্ধ মন্ত্রী সুস্থ হয়ে নিশ্চিতরূপেই একটি ভালো বার্তা দিয়েছেন। আশা জাগানিয়া এই খবরে অন্য রোগীদের সাহসের সঞ্চার হবে।
গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে জানা যায়, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, শুধু বাংলাদেশে নয়, সমগ্র বিশ্বেই আজ এই সমস্যাটা চলছে। তাঁর সরকারের মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, সাবেক ও বর্তমান সাংসদসহ দেশে এবং প্রবাসে করোনা ভাইরাসের কারণে মৃত্যুবরণকারী বাংলাদেশীদের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন তিনি এবং এর কবল থেকে সবার মুক্তির জন্য মহান আল্লাহর দরবারে প্রার্থনা করেন।
সবচেয়ে বড় সত্যটা প্রধানমন্ত্রী তুলে ধরেছেন। মহান আল্লাহ আল্লাহ চাইলে আমাদের ভেতরকার সবটুকু পাপ মোচন করে দিয়ে পবিত্র করে দিতে পারেন। প্রয়োজন আল্লাহর কাছে একান্তভাবে প্রার্থনা। এ প্রার্থনা যত বেশি সুন্দর হবে ততই আল্লাহর রহম বর্ষিত হবে।
মানুষ সামাজিক জীব। সমাজবদ্ধ জীবন নিয়েই চলতে হয়। প্রধানমন্ত্রী সতর্কতা দিয়েছেন স্বাস্থ্যবিধি মানার জন্য। কিন্তু সচলতা যত বাড়ছে হার মানার ভয়াবহতাও বেড়েই চলেছে তা অস্বীকারের সুযোগ নেই। তবে এই মানুষই যদি সতর্কতা মেনে জীবন সলচতায় এগিয়ে আসেন-তাহলেই করোনা ভাইরাসে নাকাল এই দেশকে আমরা রক্ষা করতে পারবো বলেই আমাদের বিশ্বাস।