পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : স্বাধীনতার ৭০ বছরের মধ্যে শ্রীলঙ্কার সবচেয়ে ভয়াবহ অর্থনৈতিক সংকটের ব্যাখ্যা দিলো দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক। গত বছর, খাদ্য থেকে শুরু করে জ্বালানি পর্যন্ত সব আকাশ্চুম্বী দামের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে উঠতে পারেনি শ্রমিকের মজুরি। এবার প্রকাশিত বার্ষিক প্রতিবেদনে এ বিষয়ের ব্যাখ্যা দিলো শ্রীলঙ্কার কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
গত বছরের সেপ্টেম্বরে বৈদেশিক ঋণে জর্জরিত হয়ে দেশটির অর্থনৈতিক সংকোচন হয় প্রায় ৭ দশমিক ৮ শতাংশ। ১৯৪৮ সালে স্বাধীন হওয়ার পর তখন প্রথমবারের মতো দেউলিয়া হয়ে পড়ে দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুসারে, বেশ কিছু অন্তর্নিহিত দুর্বলতা ও নীতিগত ত্রুটি থাকায় দেশটির অর্থনৈতিক সংকট প্রকট আকার ধারণ করেছিল। তবে আগামী বছরের মধ্যে দেশটি এ সংকট থেকে বেরিয়ে অর্থনৈতিক উন্নতির দিকে এগোবে বলে আশাবাদী ব্যাংকটি।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনুমান, চলতি বছর দেশটির অর্থনীতি ২ শতাংশ হ্রাস পাবে এবং ২০২৪ সালে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হবে প্রায় ৩ দশমিক ৩ শতাংশ।
অবশ্য ব্যাংকটির এই অনুমান আন্তর্জাতক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) প্রকাশিত ভবিষ্যদ্বানীর তুলনায় অনেকটাই বেশি। আইএমএফের তথ্যমতে, ২০২৩ সালে দেশটির অর্থনীতি ৩ শতাংশ হ্রাস পাবে এবং ২০২৪ সালে প্রবৃদ্ধির হার হবে দেড় শতাংশ।
প্রকাশিত প্রতিবেদনে কেন্দ্রীয় ব্যাংক আরও দেখিয়েছে, গতবছর কীভাবে দেশটির মুদ্রাস্ফীতি ৭০ শতাংশে গিয়ে ঠেকেছিল। সে সময় দেশটিতে ফল, সবজি, ডিমসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম দ্বিগুণের বেশি বেড়ে যায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘স্বাধীনতা পরবর্তী ইতিহাসে সবচেয়ে কঠিন বছরের মুখোমুখি হয়েছিল শ্রীলঙ্কা।’
এমন কঠিন সময়ে দেশটিকে গত বছর প্রায় ৬০ কোটি ডলার ঋণ দিয়ে সহায়তা করে বিশ্ব ব্যাংক। গত মাসে, দেশটিকে প্রায় ৩০০ কোটি ডলার দিতে সম্মত হয় আইএমএফ।
পরিস্থিতি মোকাবিলায় ঋণ পরিশোধের সময় বাড়িয়ে নিতে ঋণদাতাদের সঙ্গে আলোচনা চালাচ্ছে দেশটির সরকার।
সূত্র: বিবিসি