পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : নেক এবং এক হওয়ার আহ্বান জানিয়ে ইহকালে শান্তি, পরকালে মাগফেরাত এবং বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর সুখ-শান্তি, ঐক্য ও সমৃদ্ধি কামনা করে আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে কিশোরগঞ্জের তাড়াইলের বেলঙ্কার জামিয়াতুল ইসলাহ ময়দানে অনুষ্ঠিত তিন দিনব্যাপি ইসলাহী ইজতেমা।

রোববার (৫ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১.৩০ মিনিটের দিকে এই আখেরি মোনাজাতে হাজার হাজার মুসল্লি অংশ নেন। মোনাজাত পরিচালনা করেন বাংলাদেশ জমিয়তুল উলামার চেয়ারম্যান, শোলাকিয়া ঈদগাহের গ্র্যান্ড ইমাম, আওলাদে রাসূল, ফিদায়ে মিল্লাত মাওলানা সাইয়্যিদ আসআদ মাদানী (রহ.) এর খলীফা, শাইখুল ইসলাম আল্লামা ফরীদ উদ্দীন মাসঊদ।

মোনাজাতে কারও চোখ বন্ধ, কারও দৃষ্টি সুদূরে প্রসারিত, কারও চোখ অশ্রুভেজা। দুই ঠোঁটের ফাঁক গলে শুধু বেরিয়ে আসছিল ‘আমিন, আমিন’ ধ্বনি। হাজারো মুসল্লির সমবেত সেই ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে ওঠেছিল বেলঙ্কার চারপাশ। জীবনের সব পাপ, গুনাহ থেকে মুক্তির আশায় মহান আল্লাহর দরবারে দু-হাত তুলে অনুনয়-বিনয় করছিলেন তাঁরা।

• আরও পড়ুন: তাড়াইল ইজতেমা: আখেরি মোনাজাতের আগের রাতের চিত্র

ইসলাহী বয়ানে ইজতেমা শেষে বাড়িতে গিয়ে ইসলাহী ইজতেমার আমলগুলোর প্রতি যত্নবান থাকার কথা বলে আল্লামা মাসঊদ ফরীদ উদ্দীন মাসঊদ আগত মুসল্লীদের উদ্দেশে বলেন, ভাই, আমরা এখানে যেসব আমল করেছি, সেসব আমল যেন বাড়িতে গিয়ে ভুলে না যাই। আমাদের এই আমলগুলো যেন অভ্যাহত থাকে। আমরা এই আমলগুলো পরিবারের সবাইকে নিয়ে সবসময় করার চেষ্টা করবো, এই প্রতিজ্ঞা করি ইজতেমার ময়দানে বসেই।

মোনাজাতের আগে কান্নাই একমাত্র দুআর ভাষা জানিয়েছে মাওলানা সাইয়্যিদ আসআদ মাদানী (রহ.) এর এই খলীফা বলেন, দুআ সমস্ত ইবাদতের মূল, কিন্তু দুআর কোনো ভাষা নেই, একমাত্র কান্নাই দুআর ভাষা। দুআ করার সময় শিশুর মতো কাঁদবে। যা কিছু চাওয়ার কেঁদে কেঁদে আল্লাহর কাছে চাইবে। অবশ্যই আল্লাহ দুআ কবুল করবেন।

তিন দিনব্যাপি ইসলাহী ইজতেমায় আরও ইসলাহী বয়ান করেছেন হযরত কাসেম নানুতবী (রহ.) এর বংশধর, ইকরা টিভি ও আল খায়ের ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মাওলানা ইমাম কাসেম রশিদ আহমদ, দারুল উলূম দেওবন্দের হাদীস বিভাগের প্রধান মাওলানা আবদুল্লাহ মারুফী, পীরে কামেল শায়েখ আব্দুল হাফিজ মক্কী (রহ.) এর সুযোগ্য তনয় মাওলানা ওমর মালিক মক্কী, রংপুরের পীর ও জামিয়া কাসিমিয়া দারুল উলুম ধনতোলা মাদরাসার মুহতামিম মাওলানা হোসাইন আহমদ, জামিয়া ইসলামিয়া দারুল উলুম মাদরাসা মুহতামিম মাওলানা ইয়াহইয়া মাহমুদ, কাকরাইল সার্কিট হাউজ মসজিদের খতীব ও জামিআ ইকরা বাংলাদেশের রঈস মাওলানা আরীফ উদ্দীন মারুফ, বাংলাদেশ জমিয়তুল উলামার মহাসচিব ও জামিআ ইকরা বাংলাদেশের সিনিয়র মুহাদ্দিস মাওলানা আব্দুর রহীম কাসেমী, হাকীম আখতার রহ.–এর খলীফা মুফতি ইবরাহীম শিলাস্থানী, খুলনা মাদানী নগর মাদরাসার মুহতামিম মাওলানা ইমদাদুল্লাহ কাসেমী, জামিয়া আশরাফিয়া খাগডহর মাদরাসার মুহতামিম মাওলানা তাজুল ইসলাম কাসেমী, জামিআ ইকরা বাংলাদেশের সিনিয়র মুহাদ্দিস ড. মাওলানা হুসাইনুল বান্না, জমিয়তুল উলামা ঢাকা মহানগরীর সভাপতি মাওলানা দেলোয়ার হোসাইন সাইফী, ইকরা বাংলাদেশের প্রিন্সিপাল ও জমিয়তুল উলামা ঢাকা মহানগরীর নির্বাহী সভাপতি মাওলানা সদরুদ্দিন মাকনুন, জামিয়াতুল ইসলাহ মাদরাসার মুহতামিম মাওলানা সাঈদ নিজামী, জমিয়তুল উলামা ঢাকা মহানগরীর জেনারেল সেক্রেটারি মাওলানা কাজী সাইফুর রহমান শোয়াইব, বাংলাদেশ জমিয়তুল উলামা ঢাকা মহানগরীর সহসভাপতি ও আল কারীম তালীমুল কুরআন মাদরাসার মুহতামিম মাওলানা ইহতেশামুল হক, মাওলানা জুনায়েদ কাসেমীসহ দেশ বরেণ্য অসংখ্য উলামায়ে কেরাম।