পাথেয় রিপোর্ট : আসন্ন নির্বাচনে আবার ক্ষমতায় গিয়ে সরকার গঠন করতে পারলে প্রতিটি গ্রামে আধুনিক নগর সুবিধা পৌঁছে দেয়ার অঙ্গীকার করেছে আওয়ামী লীগ।আগামী ৫ বছরে আমার গ্রাম হবে আমার শহর। জয়ী হয়ে সরকার গঠন করলে দেশের প্রতিটি গ্রামকে শহরে পরিণত করার কর্মসূচি হাতে নেওয়া হবে।
আসন্ন নির্বাচন সামনে রেখে আওয়ামী লীগ তাদের নির্বাচনী ইশতেহারে এ অঙ্গীকার করেছে।
মঙ্গলবার (১৮ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানী হোটেল সোনারগাঁওয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করা হয়।
‘সমৃদ্ধির অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ’ এই শ্লোগান নিয়ে সব মিলিয়ে ২১টি বিশেষ অঙ্গীকার পূরণের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ইশতেহার ঘোষণা করেন দলীয় সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
ঘোষণায় শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা নির্বাচিত হয়ে সরকার গঠন করলে প্রতিটি গ্রামকে শহরে উন্নীত করার কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করবো। শহরের সুবিধা গ্রামে পৌঁছে দেব। আগামী ৫ বছরে দেশের প্রতিটি ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে যাবে। পাকা সড়কের মাধ্যমে সকল গ্রামকে জেলা/উপজেলা শহরের সঙ্গে সংযুক্ত করা হবে।’
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘সুপেয় পানি এবং উন্নতমানের পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হবে। সুস্থ বিনোদন এবং খেলাধুলার জন্য অবকাঠামো গড়ে তোলা হবে।’
দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ; নারীর ক্ষমতায়ন, লিঙ্গ সমতা ও শিশুকল্যাণ; পুষ্টিসম্মত ও নিরাপদ খাদ্যের নিশ্চয়তা; সন্ত্রাস, সাম্প্রদায়িকতা ও জঙ্গিবাদ নির্মূল; মেগা প্রকল্পগুলো দ্রুত ও মানসম্মতভাবে বাস্তবায়ন; গণতন্ত্র ও আইনের শাসন সুদৃঢ় করা; সরকারি ও বেসরকারি বিনিয়োগ বৃদ্ধি; দারিদ্র্য নির্মূল; সব স্তরে শিক্ষার মান বৃদ্ধি; নিরাপদ সড়কের নিশ্চয়তা; সরকারি চাকরিতে বয়সসীমা বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি; সর্বস্তরের মানুষের মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা; নিরাপদ সড়কের নিশ্চয়তা; প্রবীণ কল্যাণ কর্মসূচি প্রভৃতি নিশ্চয়তাসহ আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে ২১টি বিশেষ অঙ্গীকার করা হয়েছে।
এসব অঙ্গীকারের মধ্যে দুটি বিষয়ের ওপর বিশেষ জোর দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে একটি-আমার গ্রাম, আমার শহর; যেখানে প্রতিটি গ্রামে আধুনিক নগর সুবিধা পৌঁছে দেয়ার রূপরেখা তুলে ধরা হয়েছে। দ্বিতীয়টি হচ্ছে-তারুণ্যের শক্তি, বাংলাদেশের সমৃদ্ধি।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়ী হয়ে ক্ষমতায় গেলে দেশের প্রতিটি গ্রামকে আধুনিক নগর সুবিধা দিয়ে ‘আমার গ্রাম, আমার শহর’ হিসেবে গড়ে তুলবে আওয়ামী লীগ। একই সঙ্গে তারুণ্যকে উৎপাদনমুখী শক্তিতে রূপান্তর করে সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করা হবে।
‘আর যুবসমাজ, তারুণ্যের এই শক্তিই বাংলাদেশের সমৃদ্ধি। সোনার বাংলার স্বপ্ন বাস্তবায়ন ও ডিজিটাল বাংলাদেশের প্রধানতম শক্তি যুবশক্তি। দেশের এই শক্তিকে সুসংগঠিত ও সুশৃঙ্খল এবং উৎপাদনমুখী শক্তিকে রূপান্তরের লক্ষ্য অর্জনে আওয়ামী লীগ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
ইশতেহার ঘোষণা অনুষ্ঠানে সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, শিক্ষক, প্রকৌশলী, বুদ্ধিজীবী, তরুণ সমাজের প্রতিনিধি, ঢাকায় নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও কূটনীতিক, দেশি-বিদেশি সাংবাদিকসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ উপস্থিত রয়েছেন।
