আজ শাবিপ্রবি যাচ্ছেন শিক্ষামন্ত্রী

আজ শাবিপ্রবি যাচ্ছেন শিক্ষামন্ত্রী

পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের পদত্যাগের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন চলছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন শিক্ষার্থীরা। পরে আইআইসিটি ভবনের দেয়ালে প্রতীকী রক্তের ছাপ বসিয়ে প্রতিবাদ জানান তাঁরা। তাঁদের দাবিদাওয়া নিয়ে কথা বলতে আজ শুক্রবার ক্যাম্পাসে আসছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।

এর আগে গতকাল প্রক্টরকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। জানা যায়, গতকাল ছিল আন্দোলনের ২৯তম দিন। গত ১৬ জানুয়ারি বিকেল ৫টায় আইআইসিটি ভবনের সামনে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালিয়েছিল পুলিশ। এ সময় আহত হয়েছিলেন অন্তত ৮০ জন শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা। শটগানের গুলিতে গুরুতর আহত হয়েছিলেন সজল নামের এক শিক্ষার্থী। তিনি এখনো বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসাধীন। পুলিশের সেই হামলার প্রতিবাদ জানিয়ে ভবনটির দেয়ালে প্রতীকী ‘রক্তের ছাপ’ বসান শিক্ষার্থীরা।

গতকাল দেয়ালে প্রতীকী রক্তের ছাপ বসাতে গিয়ে লোকপ্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী আনিকা ফারজানা ঊর্মি বলেন, সেদিন পুলিশের হামলায় আহত অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থীর রক্তের দাগ এখনো শুকায়নি। পরে একে একে অন্যরাও বসিয়েছেন রক্তের ছাপ, যেন সবার হাত লাঠির আঘাতে রক্তাক্ত হয়ে উঠেছে। হাত থেকে গড়িয়ে পড়ছে রক্ত। সেই রক্তের ছাপে রঙিন হয়ে উঠেছে শাবিপ্রবির দেয়াল।

এর আগে শিক্ষার্থীরা সেদিনের হামলার প্রতিবাদ জানাতে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন। অনশন ভাঙার ১৬ দিন পেরিয়ে গেলেও এখনো উপাচার্যের পদত্যাগের সিদ্ধান্ত না আসায় আবার আন্দোলনে নেমেছেন শিক্ষার্থীরা। অনশন ভাঙার পর থেকে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে আন্দোলন চালিয়ে আসছিলেন তাঁরা। তবে গত বুধবার থেকে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে প্রতিবাদী স্লোগান ও হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে বিক্ষোভে নামেন।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থী নাফিজা আনজুম ইমু বলেন, ‘প্রশাসন পুলিশ দিয়ে আমাদের ওপর বর্বরোচিত হামলা চালিয়েছিল। এই জায়গায় (আইআইসিটি ভবন) রক্তাক্ত হয়েছিলেন আমাদের সহপাঠীরা। তাই ভবনটির দেয়ালে আমাদের লড়াইয়ের ইশতেহার হিসেবে রক্তিম ছাপ এঁকে দিয়েছি।’

আরেক শিক্ষার্থী সাব্বির আহমেদ বলেন, ‘বারবার আশ্বাস দিয়েও মামলা প্রত্যাহার করেনি পুলিশ। আমরা অবিলম্বে সব মামলা প্রত্যাহার চাই। এ ছাড়া উপাচার্যের পদত্যাগ না হওয়া পর্যন্ত আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব।’

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *