১০ই জুন, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ , ২৭শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ , ২০শে জিলকদ, ১৪৪৪ হিজরি

আট মাসে আমদানি এলসি খোলার পরিমাণ কমেছে ১৪ বিলিয়ন ডলার

পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বিধিনিষেধ ও রপ্তানি আদেশ কমে আসায় এ অর্থবছরের প্রথম আট মাসে আমদানির জন্য ওপেনিং লেটার অব ক্রেডিট (এলসি) খোলার পরিমাণ ২৩.৪৫% বা ১৪ বিলিয়ন ডলার কমেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, গত জুলাই-ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সময়ে ৪৫.৫২ বিলিয়ন ডলারের এলসি খোলা হয়েছে। আগের অর্থবছরের একই সময়ে ৫৯.৪৬ বিলিয়ন ডলারের এলসি খোলা হয়েছিল।

অর্থাৎ, এলসি খোলা কমেছে ২৩.৪৫%।

বেশ কয়েকটি ব্যাংক ও আমদানিকারকদের শীর্ষ কর্মকর্তাদের মতে, এলসি খোলায় ১০০% পর্যন্ত মার্জিন রাখাসহ নানা কড়াকড়ি আরোপ করে। ফলে ব্যবসায়ীরা ক্যাপিটাল মেশিনারিজ ও বিলাসদ্রব্য আমদানিতে কিছুটা নিরুৎসাহিত হয়।

এছাড়া কেন্দ্রীয় ব্যাংক ৩ মিলিয়ন ডলারের বেশি মূল্যের আমদানি এলসি খোলার আগে রিপোর্ট করার নির্দেশনা দেয় ব্যাংকগুলোকে।

রিপোর্ট করা এসব এলসির পণ্যের আন্তর্জাতিক মূল্য যাচাই-বাছাই করে অনুমোদন করার নীতি নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

ফলে ওভার ইনভয়েসিংও কিছুটা কমে এসেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এলসি খোলা কমে যাওয়ার এগুলোই অন্যতম কারণ।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যে দেখা যায়, আর্থিক মূল্যের দিক থেকে শিল্পের কাঁচামাল আমদানির জন্য সর্বোচ্চ এলসি খোলা হয়েছে।

গত ৮ মাসে আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ৬.৬৮ বিলিয়ন ডলার বা ৩০.০৫% কমে এই খাতে এলসি খোলা হয়েছে ১৫.৫৬ বিলিয়ন ডলারের।

এই উপকরণগুলোর একটি বড় অংশ পোশাক খাতের রপ্তানির জন্য কাঁচামাল হিসাবে আমদানি করা হয়।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, তারা এসব কাঁচামাল আমদানির জন্য এলসি খোলার পরিমাণ কমিয়ে দিয়েছেন।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, মূলধনী যন্ত্রপাতির জন্য আমদানি এলসি খোলার পরিমাণ প্রায় ৫৪% কমে ২.৫৩ বিলিয়ন ডলার হয়েছে।

এলসি খোলার উল্লেখযোগ্য হ্রাসের পাশাপাশি এলসি সেটেলমেন্টও কমেছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সময়ে পেমেন্ট করা হয়েছে ৫২.০২ বিলিয়ন ডলার, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ১.২২% কম।

২০২২ সালের ১৭ এপ্রিল এলসির নগদ মার্জিন প্রাথমিকভাবে ২৫% বেড়েছিল, যা পর্যায়ক্রমে ২৭টি পণ্যের জন্য ১০০%-এ দাঁড়িয়েছিল।

আরেক ব্যবস্থায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক ৩ মিলিয়ন ডলারের বেশি দামের এলসির জন্য আগেই অবহিত করতে বলেছে।

২০২২ সালের এপ্রিলে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৪৪ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছিল।

যা এ বছরের এপ্রিলে ৩১.২৪ বিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে।

শেয়ার করুন


সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ১৯৮৬ - ২০২৩ মাসিক পাথেয় (রেজিঃ ডি.এ. ৬৭৫) | patheo24.com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com