আদি সানম
- ডাক টিকেটের রং
শাদা অ্যাপ্রন পরা সুনসান-রাত
মিসেস সেবিকার মতো
বুনে যাচ্ছে,নক্ষত্রফুল সেলাইয়ে
শহর এবং মালোপাড়ার-চাঁদ
এই সব মধ্যরাতে ইযুগল মানায়
যে শিল্পী স্বপ্নের মধ্যে ছবি আঁকে
আগুন্তক যৌবনসভায় দু’একটা-
নীরব প্রার্থনার দুধেল শরীর,
অদৃশ্য মিলনে আঙ্গুলের নেশা-
সেই শান্ত শূন্যতার গাঢ় পরশ
সিঁড়ির রেলিং ধরে দাঁড়ায়ে-
এমনো রাতকরোটিতে স্বপ্ন আসে
অনিবার্য ছুঁয়ে যায় সহজাত সৌরভ
একেবারে তোমার শ্রেণী বান্ধবে
ডাক টিকেটের রং; উপমা-উপভোগ!
- গান
অশ্লীল নেশায় তোমাকে জড়াইয়া ধরে
-হাঁটতেছে।আহা! হৃদবৃদ্ধ মানুষকে
পেছনে রেখে নগর কিংবা মেথরপাড়া
কলোনির সম্মুখে গান গাওয়া-যুবক।
জোরছে গাইতেছে, গলা ছাইড়্যা-
পথের সিথান বেয়ে-মাঘীপূর্ণিমার
নিশানা এঁকে মলিন পাতায়
থকথকে জ্যোৎস্না,এমন এক
সমুদ্রের মাছগন্ধী বালিকার
স্তন হতে ডেটলের গন্ধ ভাসিয়ে আনছে
স্নিগ্ধ দৃষ্টিরেখা-যেন ধাবমান ট্রেন
স্বর্ণাভ হৃদয় নিয়ে প্রণয় প্রবেশে
এগোচ্ছে এক শীতল পাপের
উত্তীর্ণ সতর্কতা-আর মধ্যরাতের
দেয়ালে আঁকা হচ্ছে দুধাশ্রয় চুমুক!
- রঙিন পোস্টকার্ড
প্লেন যাচ্ছে, পাখির মতো;
কুয়াশা ভেদ কইর্যা
পথগাথা আকাশে-
অথচ যাওয়া হলো না
-আমার, ঝিনেদা শহরে।
অদৃশ্য বাতাসের
জরায়ু আলগা
ডিম লাইটে-স্তুপজট
সকল বাঁচা ঝুলে আছে
নদী,খোলামাঠ-লেবুখেত
সটান স্বপ্নাদ্য সলাজ প্রেম
জীবনের পোস্টকার্ড
মিনা যেখানে বেঁচে আছে!