আপাতত চাল রপ্তানি বন্ধের পরিকল্পনা নেই ভারতের

আপাতত চাল রপ্তানি বন্ধের পরিকল্পনা নেই ভারতের

পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : গম রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা ও চিনি রপ্তানি নির্দিষ্ট সীমার মধ্যে বেঁধে দিলেও চাল রপ্তানি বন্ধ বা সীমিত করার কোনো পরিকল্পনা আপাতত ভারতের নেই। ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের বাণিজ্যমন্ত্রী পীযুষ গয়াল শনিবার দিল্লিতে মন্ত্রিসভার এক বৈঠকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

এছাড়া নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও কিছু দেশের সরকারের বিশেষ অনুরোধে সেসব দেশে গম রপ্তানি করা হবে বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুব্রামানিয়াম জয়শঙ্কর।

মন্ত্রিসভার বৈঠকে পীযুষ গয়ালের কাছে জানতে চাওয়া হয়—গম ও চিনির মতো চাল রপ্তানিতেও নিষেধাজ্ঞা বা নির্দিষ্ট কোনো সীমা আরোপের প্রয়োজন আছে কি না।

জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বর্তমানে আমাদের চালের মজুত ও উৎপাদন সন্তোষজনক পর্যায়ে রয়েছে। এজন্য আপাতত চাল রপ্তানি বন্ধ বা সীমিত করার কোনো পরিকল্পনা আমাদের নেই। এছাড়া অন্যান্য খাদ্যপণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রেও বিধিনিষেধ জারির প্রয়োজন নেই।’

বিশ্বে গম উৎপাদনে দ্বিতীয় স্থানে থাকলেও অভ্যন্তরীণ চাহিদা মিটিয়ে অল্প পরিমাণ গম রপ্তানি করতে পারে ভারত। ভারতীয় গম কেনে মূলত বাংলাদেশ, নেপাল ও দক্ষিণ এশিয়ার কয়েকটি দেশ।

কিন্তু গত মার্চে বৈরী আবহাওয়া ও তীব্র তাপদাহের কারণে দেশটিতে গমের ফলন ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় গত ১৩ মে গম রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দেয় দেশটির সরকার। অবশ্য বিশেষ কিছু ক্ষেত্রে এ নিষেধাজ্ঞা শিথিল করা হবে বলে উল্লেখ করা হয়েছিল সরকারি আদেশে।

গম রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার পর থেকেই প্রশ্ন উঠছিল, চাল রপ্তানিতেও নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হতে পারে কি না। ৪ জুন চিনি রপ্তানির সীমা বেঁধে দেওয়ার পর আরও স্পষ্ট হয়ে ওঠে ব্যাপারটি।

ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরে দেশটির ব্যবসায়ীরা সর্বোচ্চ ১ কোটি টন চিনি রপ্তানি করতে পারবেন। কিন্তু দেশটির বাণিজ্যমন্ত্রী শনিবারের বৈঠকে জানিয়েছেন, গম ও চিনির ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ জারি হলেও চাল রপ্তানিতে কোনো বাধা আরোপ করা হবে না।

আন্তর্জাতিক বাজারে চাল রপ্তানিতে শীর্ষে রয়েছে ভারত। চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরে ইতোমধ্যে ২ কোটি ১২ লাখ টন চাল রপ্তানি করেছে ভারত। তার আগের বছর এই পরিমাণ ছিল ১ কোটি ৭৮ লাখ টন।

বৈঠক শেষ হওয়ার ব্রিফিংয়ে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুব্রামানিয়াম জয়শঙ্কর সাংবাদিকদের জানান, কয়েকটি দেশের সরকারি পর্যায় থেকে অনুরোধ আসায় নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও বিশেষ বিবেচনায় সেসব দেশে গম পাঠানোর সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে বৈঠকে।

তিনি বলেন, ‘কয়েকটি দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী গমের জন্য আমাকে ফোন করেছিলেন এবং বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আমরা নিশ্চিত করছি যে—তারা আমাদের বাজার থেকে গম কিনতে পারবেন।’

সূত্র: রয়টার্স

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *