আফগানিস্তানে এবার এনজিওতে নারী কর্মীরা নিষিদ্ধ

আফগানিস্তানে এবার এনজিওতে নারী কর্মীরা নিষিদ্ধ

পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : আফগানিস্তানের তালেবান-নিয়ন্ত্রিত প্রশাসন দেশটির সব স্থানীয় এবং বিদেশি বেসরকারি সংস্থাকে (এনজিও) নারী কর্মীদের কাজে আসতে বারণ করে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। নারী শিক্ষার্থীদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা নিষিদ্ধ করার কয়েক দিন পর শনিবার দেশটির অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক চিঠিতে এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

দেশটির অর্থ মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আবদুল রহমান হাবিব এনজিওতে নারী কর্মীদের নিষিদ্ধ করার বিষয়ে তালেবানের নির্দেশনার চিঠির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে তিনি বলেছেন, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত স্থানীয় এবং বিদেশি এনজিওতে কর্মরত নারীদের কাজে আসতে নিষেধ করা হয়েছে। দেশটিতে এনজিওর কিছু নারী কর্মী ইসলামিক পোশাকবিধি সংক্রান্ত তালেবান প্রশাসনের ব্যাখ্যা মেনে না চলায় এই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

তবে আফগানিস্তানে ব্যাপক উপস্থিতি রয়েছে জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থার; সেসব সংস্থার জন্য তালেবানের এই আদেশ প্রযোজ্য হবে কি-না তাৎক্ষণিকভাবে তা পরিষ্কার হওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে রয়টার্স।

গত সপ্তাহে তালেবানের প্রশাসন আফগান বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর দ্বার নারী শিক্ষার্থীদের জন্য বন্ধ ঘোষণার পর এনজিওতে কর্মরত নারীদের বিষয়ে নতুন এই নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।

মানবাধিকার ও নারী অধিকারের প্রতি সহনশীলতা প্রদর্শনের অঙ্গীকার করে ক্ষমতায় আসা তালেবান ইতোমধ্যে আফগান নারীদের বিরুদ্ধে একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এর মধ্যে চাকরি থেকে মেয়েদের বহিষ্কার, অভিভাবক ছাড়া গাড়িতে চলাচল ও মেয়েদের ষষ্ঠ শ্রেণির পর স্কুলে নিষিদ্ধ করার তালেবানের সিদ্ধান্ত বিশ্বজুড়ে ব্যাপক উদ্বেগ তৈরি করেছে।

নারীদের বিরুদ্ধে তালেবানের একের পর এক সিদ্ধান্ত আফগানিস্তানকে নারীদের জন্য খাঁচায় পরিণত করা হচ্ছে বলে অনেকে মন্তব্য করেছেন। তালেবানের ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে আফগানিস্তানে নারীদের নেতৃত্বাধীন বিক্ষোভ-প্রতিবাদ ক্রমবর্ধমান হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। বিক্ষোভে অংশ নেওয়া নারীরা গ্রেপ্তার, সহিংসতা এবং সামাজিক কলঙ্কের ঝুঁকি নিয়ে তালেবানের বিরুদ্ধে আন্দোলন করছেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ে নারী শিক্ষার্থীদের নিষিদ্ধ করার তালেবানের আদেশের বিরুদ্ধে গত বৃহস্পতিবার দেশটির রাজধানী কাবুলে বিক্ষোভ করেছেন কয়েক ডজন নারী। গত মঙ্গলবার গভীর রাতে নারীদের বিশ্ববিদ্যালয়ে নিষিদ্ধ করার পর যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ কয়েকটি মুসলিম দেশ এর নিন্দা জানিয়েছে।

সূত্র: রয়টার্স, এএফপি।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *