পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : তালেবান সরকার কর্তৃক আফগানিস্তানে নারীদের বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া বন্ধের ঘোষণায় তীব্র নিন্দা, ক্ষোভ ও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ৬৬টি নারী, মানবাধিকার ও উন্নয়নের সংগঠনের প্ল্যাটফর্ম সামাজিক প্রতিরোধ কমিটি।
শুক্রবার (২৩ ডিসেম্বর) সামাজিক প্রতিরোধ কমিটির পক্ষে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপতি ডা. ফওজিয়া মোসলেম স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে বলা হয়, আমরা বিভিন্ন সংবাদ ও গণমাধ্যমে দেখতে পাচ্ছি, আফগানিস্তানে তালেবান সরকার বিশ্ববিদ্যালয়ে নারীদের লেখাপড়া বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এ পদক্ষেপ অব্যাহত থাকবে। তালেবান সরকারের উচ্চশিক্ষা মন্ত্রীর এ ধরণের নির্দেশে সামাজিক প্রতিরোধ কমিটি তীব্র নিন্দা ও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছে। এছাড়া তারা ক্ষমতায় যাওয়ার পরই আফগানিস্তানের শিক্ষাখাতে ব্যাপক প্রভাব পড়েছে। গত বছর তালেবান ক্ষমতা দখলের পর বিশ্ববিদ্যালয় ও বিভিন্ন শিক্ষায় নারীদের অংশগ্রহণ ব্যাপকভাবে সীমিত করে এবং নারীদের জন্য পৃথক শ্রেণীকক্ষসহ বিকল্প যাতায়াতের পথ বেঁধে দেয় তালেবান প্রশাসন।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, কারা নারীদের পড়াতে পারবেন আর কারা পড়াতে পারবেন না তাও নির্ধারণ করে দেয় তালেবান সরকার। এরপর এ নিষেধাজ্ঞা আইন কার্যকর হলে আনুষ্ঠানিক শিক্ষায় আফগান নারীদের প্রবেশাধিকার আরও সীমাবদ্ধ করে ফেলবে কারণ ইতোমধ্যেই আফগান নারীরা মাধ্যমিক শিক্ষা থেকে বাদ পড়েছেন।
মহিলা পরিষদের মতে, শিক্ষা মানুষের মৌলিক অধিকার। এ মৌলিক অধিকার রক্ষায় প্রতিটি দেশের সরকার নারী পুরুষ নির্বিশেষে তার জনগণের নিকট দায়বদ্ধ। অথচ আফগানিস্তানের নারীদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চশিক্ষা নিষিদ্ধ করে দেশটির তালেবান সরকার যে নির্দেশনা দিয়েছেন তা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। এ নির্দেশনার ক্ষতিকর ও নেতিবাচক প্রভাব বিশ্বের অন্যান্য দেশেও ছড়িয়ে পড়বে। তাই আমরা এ মানবাধিকার পরিপন্থী নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দা প্রকাশ করছি। এছাড়াও সামাজিক প্রতিরোধ কমিটি অনতি বিলম্বে এ নির্দেশনা প্রত্যাহার করে দেশটির নারীদের উচ্চশিক্ষার পথ প্রসার করার জন্য আফগানিস্তানের তালেবান সরকার প্রধানের প্রতি জোড় দাবি জানাচ্ছি।