নিজস্ব প্রতিবেদক ● রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ বলেছেন, আন্তঃদেশীয় আবহাওয়ার পূর্বাভাস এবং আবহাওয়া, জলবায়ু ও পানি সংক্রান্ত অন্যান্য তথ্যের আদান-প্রদান আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারে। বিশ্ব আবহাওয়া দিবস উপলক্ষে বুধবার এক বাণীতে তিনি এ কথা বলেন। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও ‘বিশ্ব আবহাওয়া দিবস ২০১৭’ পালনের উদ্যোগকে রাষ্ট্রপতি স্বাগত জানান। তিনি বলেন, আবহাওয়া জীবন ও জগতের ওপর গভীর প্রভাব ফেলে। পৃথিবীর ঊষালগ্ন থেকে মানব সভ্যতার বিকাশ, কৃষ্টি, জীবনযাপন, শিল্প-সাহিত্য, উন্নয়ন ও অগ্রগতিতে আবহাওয়া ও জলবায়ু গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। বলা চলে জলবায়ু-ই সভ্যতা ও উন্নয়নের নিয়ামক।
আবদুল হামিদ বলেন, জলবায়ুর পরিবর্তন বুধবার বিশ্বব্যাপী। তাই জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকিহ্রাসে বৈশ্বিক সহায়তার মাধ্যমে সু-সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ প্রয়োজন। টেকসই উন্নয়ন নীতি নির্ধারণের জন্য আবহাওয়া, জলবায়ু ও পানি বিষয়ক তথ্যের আদান-প্রদান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই তথ্য প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও জলবায়ু সম্পর্কিত ঝুঁকি মোকাবিলাসহ জাতীয় নীতিমালা প্রণয়ন, নীতি ও কৌশল নির্ধারণ, সচেতনতা বৃদ্ধি, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ক্ষতি উপশমে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই আবহাওয়া ও জলবায়ু সম্পর্কে স্বচ্ছ ও সঠিক ধারণা অত্যাবশ্যক।
রাষ্ট্রপতি বলেন, পৃথিবীর প্রাকৃতিক শক্তির ভারসাম্য রক্ষা, আবহাওয়া, জলবায়ু এবং একই সাথে সমগ্র পৃথিবীর পানিচক্র ও জলবায়ু ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণে মেঘমালা প্রধান ভূমিকা পালন করে থাকে। এ পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ব আবহাওয়া দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য ‘মেঘমালাকে অনুধাবণ’ বিশ্বের আবহাওয়া, জলবায়ু ও পানিচক্রের ওপর মেঘমালার প্রভাব সম্পর্কে মানুষের জ্ঞানের পরিধি বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে। বাংলাদেশ বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার (ডব্লিউএমও) সদস্য রাষ্ট্র। তিনি বলেন, সঠিক ও সময়মতো আবহাওয়ার পূর্বাভাস জীবন ও সম্পদ রক্ষাসহ নীতি নির্ধারণের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। প্রযুক্তি ব্যবহার আবহাওয়ার পূর্বাভাস নির্ণয়ের সক্ষমতাকে শক্তিশালী করেছে। বাংলাদেশ সরকার সম্প্রতি ‘বাংলাদেশ আঞ্চলিক আবহাওয়া জলবায়ু সেবা’ নামে একটি প্রকল্প অনুমোদন করেছে যা তৃণমূল পর্যায়ের জনসাধারণ বিশেষত কৃষকের কাছে আবহাওয়া ও জলবায়ু সংক্রান্ত সেবাসমূহ পৌঁছে দেয়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
patheo24/mr