আবারও বায়ুদূষণে শীর্ষে ঢাকা

আবারও বায়ুদূষণে শীর্ষে ঢাকা

পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম: ঢাকার বায়ুদূষণ বেড়েই চলেছে। গত সোমবার বায়ুদূষণে শীর্ষে থাকা ঢাকার স্কোর ছিল ৩১৬। বাতাসের এ মান ‘দুর্যোগপূর্ণ’ বা ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। গতকাল মঙ্গলবার বিশ্বের ১০৯ শহরের মধ্যে বায়ুদূষণে ঢাকার স্থান ছিল দ্বিতীয়।

আর আজ বুধবার সকাল সাড়ে আটটার বায়ুদূষণের তালিকায় শীর্ষে ছিল ঢাকা। আইকিউএয়ারের বাতাসের মানসূচকে (এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স-একিউআই) ঢাকার স্কোর ছিল ২৬৬। বাতাসের এ মান ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

আজ সকাল সাড়ে আটটার দিকে দূষিত বায়ুর শহরগুলোর তালিকায় দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে ছিল পাকিস্তানের লাহোর ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী কলকাতা। শহরটি দুটির স্কোর যথাক্রমে ২১২ ও ১৯১। বায়ুদূষণের এ পরিস্থিতি নিয়মিত তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার।

বাতাসের মান নিয়ে তৈরি করা এই লাইভ বা তাৎক্ষণিক একিউআই সূচক একটি নির্দিষ্ট শহরের বাতাস কতটা নির্মল বা দূষিত, সে সম্পর্কে মানুষকে তথ্য দেয় ও সতর্ক করে।

আইকিউএয়ারের দেওয়া আজকের তালিকায় বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই (পিএম ২.৫) দূষণের প্রধান উৎস। আজ ঢাকার বাতাসে যতটা এই বস্তুকণা আছে, তা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মানদণ্ডের চেয়ে ৪২ গুণের বেশি। বাতাসের এ অবস্থা থাকায় সবার জন্য পরামর্শ, আজ বাইরে বের হলে মাস্ক ব্যবহার করতে হবে।

বায়ুদূষণ বেশি হলে সবচেয়ে ঝুঁকিতে থাকেন সংবেদনশীল গোষ্ঠীর ব্যক্তিরা। তাঁদের মধ্যে আছেন বয়স্ক, শিশু, অন্তঃসত্ত্বা ও জটিল রোগে ভোগা ব্যক্তিরা। তাঁদের বিষয়ে বিশেষ যত্নবান হওয়া দরকার বলে পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।

আইকিউএয়ারের মানদণ্ড অনুযায়ী, স্কোর ৫১ থেকে ১০০ হলে তাকে ‘মাঝারি’ বা ‘গ্রহণযোগ্য’ মানের বায়ু হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ১০১ থেকে ১৫০ স্কোরকে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ ধরা হয়।

স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তা ‘অস্বাস্থ্যকর’ বায়ু। স্কোর ২০১ থেকে ৩০০ হলে তাকে ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’ বায়ু ধরা হয়।

৩০১ থেকে তার ওপরের স্কোরকে ‘দুর্যোগপূর্ণ’ বা ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ ধরা হয়। ঢাকায় গত জানুয়ারিতে সবচেয়ে বেশিসংখ্যক দিন দুর্যোগপূর্ণ বাতাসের মধ্যে কাটিয়েছে নগরবাসী। জানুয়ারির মোট ৯ দিন রাজধানীর বাতাসের মান দুর্যোগপূর্ণ ছিল, যা গত ৭ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *