আলুর দাম বেড়েছে ২২৯ শতাংশ, চালকেও ছাড়িয়ে গেছে

আলুর দাম বেড়েছে ২২৯ শতাংশ, চালকেও ছাড়িয়ে গেছে

পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : ঢাকার বেশিরভাগ বাজারে এখন চালের চেয়ে আলু বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। নতুন ও পুরনো আলুর দাম বেড়ে মোটা ও মাঝারি চালের দামকেও ছাড়িয়ে গেছে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে সরু চালের দামও টপকে গেছে।

শীতের শুরুতেই নতুন আলু বাজারে এসেছে। বাজারে এখনও কিছু পুরোনো আলুও রয়েছে। তারপরেও বাজারে আলুর দাম চড়া। একইসঙ্গে অন্যান্য শীতকালীন সবজির দামও বেশি।

রাজধানীর মালিবাগ, মগবাজার ও রামপুরা বাজারের প্রতি কেজি আলু ৭০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এক সপ্তাহের মধ্যে আলুর দাম কেজিতে ১০ টাকা বেড়েছে। নতুন আলু সাধারণত ডিসেম্বরের মাঝামাঝি বাজারে আসে এবং তারপরে দাম কমতে শুরু করে।

বাংলাদেশ ট্রেডিং কর্পোরেশন (টিসিবি) জানিয়েছে, প্রতি কেজি মোটা চাল ৪৮-৫০ টাকা এবং মাঝারি চাল ৫০-৫৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর প্রতি কেজি সরু চাল ৬০-৭৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ হিসাবে আলুর দাম সব ধরনের মোটা ও মাঝারি চালের চেয়ে বেশি এবং ক্ষেত্রবিশেষে সরু চালের দামের চেয়েও বেশি।

যদিও টিসিবির তালিকায় উল্লেখিত চাল ছাড়া আরও বিভিন্ন ধরনের সরু চাল রয়েছে। এই ধরনের সরু চালের দাম প্রতি কেজি ৯৫ টাকা পর্যন্ত হতে পারে।

টিসিবির দামের তালিকা বিশ্লেষণে দেখা যায়, গত এক বছরে মোটা, মাঝারি ও সরু চালের দাম প্রায় একই রকম ছিল। তবে আলুর দাম ছিল ২২ থেকে ১৬ টাকা পর্যন্ত। ফলে এক বছরে আলুর দাম ২২৯ শতাংশ বেড়েছে।

বাংলাদেশ কোল্ড স্টোরেজ এসোসিয়েশনের সভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বলেন, সাধারণত ডিসেম্বরের শুরুতে ঠান্ডা গোলায় পুরোনো আলুর মজুত শেষ হয় এবং নতুন আলু বাজারে আসতে শুরু করে এবং ডিসেম্বরের মাঝামাঝি নাগাদ দাম কমতে শুরু করে। তবে আলুর আগাম ফলন কমে যাওয়ায় দাম কমছে না।

আলুর ছাড়া পেঁয়াজের দামও বেশি। প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ ১০০ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পুরোনো দেশি পেঁয়াজের দাম ১৫০-১৬০ টাকা প্রতি কেজি। শীতকালের শুরুতে সবজির দাম কমতে শুরু করলেও ডিসেম্বরের মাঝামাঝি থেকে আবার বাড়তে শুরু করেছে।

বেগুন ৭০ থেকে ৯০ টাকা কেজি, শিম ৭০ থেকে ৮০ টাকা কেজি, টমেটো ৮০ থেকে ১০০ টাকা কেজি, ফুলকপি ও বাঁধাকপি ৫০ থেকে ৬০ টাকা পিস্, শশা ৮০ থেকে ১০০ টাকা পিস্ এবং ঝিন্দের দাম ৯০ থেকে ১০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। মাত্র কয়েকটি সবজিই ৫০ টাকার নিচে পাওয়া যাচ্ছে।

গম, ডাল, তেলের মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম আগে থেকেই চড়া ছিল, কিন্তু তা কমেনি। মাছ-মাংসের বেলাও একই অবস্থা। ব্রয়লার মুরগি ১৮০ থেকে ২০০ টাকা কেজি, সোনালি মুরগি ৩১০ থেকে ৩৩০ টাকা, গরুর মাংস ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকা, রুই মাছ ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা এবং পাঙাশ মাছ ২০০ থেকে ২৩০ টাকা প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *