আল্লামা ফরীদ উদ্দীন মাসঊদের মতো ব্যক্তিত্ব কয়েক শতাব্দিতে একজন জন্মায়: তাড়াইল ইজতিমায় শায়েখ আনিস আযাদ বিলগ্রামী

আল্লামা ফরীদ উদ্দীন মাসঊদের মতো ব্যক্তিত্ব কয়েক শতাব্দিতে একজন জন্মায়: তাড়াইল ইজতিমায় শায়েখ আনিস আযাদ বিলগ্রামী

পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম: দিল্লীর জামি’আ সাইয়্যিদুল মাদারিস এর  মুহতামিম, বিশিষ্ট মুফাসসিরে কুর’আন ও সুবক্তা, জুলফিকার আলী নকশবন্দী  এর অন্যতম খলীফা  আনিস আহমাদ আযাদ বিলগ্রামী শনিবার রাত ৮টায় তাড়াইল ইজতিমায় এই মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, যারা এই ইসলাহী ইজতিমায় শরিক হতে পেরেছি তাঁদের জন্য এটি মহা সৌভাগ্যে বিষয়, কেননা এখানে কুরআন হাদীস নিয়ে আলোচনা করা হচ্ছে। হতে পারে আমাদের প্রত্যেকের জন্য এটি মাগফিরাতের যরি’আ। আমি আল খায়ের ফাউন্ডেশন এর চেয়ারম্যান ইমাম কাসেম সাহেবের মাধ্যমে বাংলাদেশের এই মহান আলেম ও বুযুর্গ আল্লামা ফরীদ উদ্দীন মাসঊদ দা. এর সাথে পরিচিত হয়েছি। তাঁর সাথে পরিচিত হয়ে আমি নিজেকে গর্বিত মনে করছি। কারণ তিনি এমন ব্যাক্তিত্ব যার ইলমী ও রূহানী ফয়যে পুরো বিশ্ব স্নাত হচ্ছে।

কারণ তিনি এমন ব্যাক্তিত্ব যার ইলমী ও রূহানী ফয়যে পুরো বিশ্ব স্নাত হচ্ছে।

এই মহান আলেমের সাথে সাক্ষাৎ করতে পেরে আমার এই দীর্ঘ সফরের ‘প্রাপ্য’ আমি পেয়ে গেছি। আমার সফরের মূল উদ্দেশ্য আমার অর্জন হয়ে গেছে। একথা নিশ্চিতভাবে বলা যায় যে, আপনারা বড়ই সৌভাগ্যবান।  কারণ, আপনারা এই মহান বুজুর্গের স্নিগ্ধ ছায়ায় এখানে সমবেত হয়েছেন এবং তাঁর বরকতসিক্ত সান্নিধ্য লাভ করছেন। তাঁর মতো ব্যাক্তিও কয়েক শতাব্দিতে একজন জন্মায়। আল্লাহ তাআলা আল্লামা ফরীদ উদ্দীন মাসঊদকে সুস্থতা, সবলতা, সক্ষমতার সাথে দীর্ঘ হায়াত দান করুন। এবং তার ফয়েয ও বরকতকে আরও সর্বত ও সার্বজনীন করুন।

এরপর শায়েখে বিলগ্রামী তাঁর চমৎকার বর্ণনাশৈলি ও সাহিত্যমণ্ডিত উর্দুতে দীর্ঘ বয়ান করেন। আমরা এখানে তাঁর বয়ানের সার নির্যাসগুলো তুলে ধরার চেষ্টা করবো।

ইমানের হাকিকত

ইমানের রূপরেখা নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে শায়েখে নকশবন্দীর এই খলীফা বলেন, ‘ইমানের রূপ ও চিত্র এমন যা শক্তিতে, অনুভবে কিংবা চর্মচোখে দেখা যায় না। আল্লাহ উপর দৃঢ় বিশ্বাস স্থাপন এবং এর উপর স্থির থাকাই  ইমানের আসল রূপ ও রহস্য’।

জান্নাতের নি’আমতরাজী

আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা বলেন, আমি মানুষের জন্য দুটি রাস্তা রেখেছি এখন তারা যেটা গ্রহণ করবে আমি তাদের সেখানে পৌঁছে দিবো। একটি হলো জান্নাত আরেকটি জাহান্নাম।

জান্নাতের নি’আমতরাজী নিয়ে তিনি বলেন, জান্নাতে যারা পৌঁছাবে তাদের অন্তরে যখন খাবারের আগ্রহ জাগবে তখন দশ হাজার খাদেম তার জন্য দশ হাজার পদের খাবার নিয়ে উপস্থিত হবে। আর জান্নাতিরা যখন পরষ্পর সাক্ষাত করবে তখন অঅভিবাদন জানিয়ে বলবে– তাহিয়্যাতান ও সালামা। বিদায়ের সময় আল্লাহর কৃতজ্ঞতা আদায় করে প্রস্থান করবে।

পক্ষান্তরে যারা ইমান আনবে না তারা জাহান্নামে যাবে। ইমানের দৌলত আল্লাহ কাউকে কারো উপর জোর করে চাপিয়ে দেননি। আল্লাহ তাআলা প্রত্যেক মানুষকে সুযোগ দিয়েছেন যে সে যেকোনো একটি পথকে চাইলে গ্রহণ করতে পারে এবং সঠিক পথের দিকে ধাবিত হতে লারে। ভুল করার পরও ফিরে আসতে পারে। কিন্তু এ সময় ফুরিয়ে যাবার পরে কাজে আসবে না যদি আগে ভাগেই আমরা ইমান না আনি। মৃত্যুর পর সবাই ইমানদার হবে। কিন্তু ইমানদারের স্বীকৃতি তারাই পারে যারা এই দুনিয়ার জীবনে আল্লাহ ও তার রাসূলের উপর পূর্ণ বিশ্বাস রাখে।

ইমান বিল গায়েব

প্রকৃত ইমান হচ্ছে ইমান বিল গায়েব। এই ইমানই আমাদের অন্তরকে শক্তিশালী করে। আর এটাই ইমানের আদি ও আসল রূপ। একবার আস বিন ওয়াইল শত বছরের পুরানো এক করবস্থান থেকে একটা হাড্ডি নিয়ে নিয়ে এসে রাসূল সা. এর কাছে প্রশ্ন করলেন, হে মুহাম্মদ! এই লোক এক সময় জীবিত ছিলো। সে অনেক আগেই মারা গেছে। এখন তার কোনো অস্তিত্ব নেই।  কীভাবে তোমার আল্লাহ পুনরায় তাকে জীবিত করবে?তখন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের এর কাছে আল্লাহ ওহী পাঠালেন, ‘আপনি জিজ্ঞেস করুন যে, এর আগে তাকে প্রথমবার কীভাবে করেছেন? এই উত্তরে তারা জব্দ হয়।

দুটি কাজে মিলবে জান্নাত

জান্নাত লাভের  জন্য আমাদের মাত্র দুটি  কাজ করতে হবে। এবং নিজেদের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ বানিয়ে নিতে হবে—

এক. সদা ইমানের হালতে থাকা

দুই. ইখলাছের সাথে আমরণ আমল করে যাওয়া

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *