২৭শে মার্চ, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ , ১৩ই চৈত্র, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ , ৪ঠা রমজান, ১৪৪৪ হিজরি
পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : শোলাকিয়া ঈদগাহের গ্র্যান্ড ইমাম, বাংলাদেশ জমিয়তুল উলামার চেয়ারম্যান, ফিদায়ে মিল্লাত সাইয়্যিদ আসআদ মাদানী (রহ.) এর সুযোগ্য খলীফা, শাইখুল ইসলাম আল্লামা ফরীদ উদ্দীন মাসঊদের পবিত্র বুখারী শরীফের শেষ দরস প্রদানের মধ্য দিয়ে রাজধানীর খিলগাঁও চৌধুরীপাড়ায় অবস্থিত জামিআ ইকরা বাংলাদেশের দাওরায়ে হাদীসের শিক্ষাসমাপনী, পুরস্কার বিতরণী ও খতমে বুখারী অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) ইকরা ঝিল মসজিদ কমপ্লক্সে হাজারো মুসল্লির উপস্থিতিতে জামিআ ইকরার খতমে বুখারী অনুষ্ঠিত হয়।
কাকরাইল সার্কিট হাউজ মসজিদের খতীব ও জামিআ ইকরা বাংলাদেশের রঈস মাওলানা আরীফ উদ্দীন মারুফের স্বাগত বক্তব্যের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন জামিআ ইকরা বাংলাদেশের সিনিয়র মুহাদ্দিস ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক মাওলানা হুসাইনুল বান্না।
বুখারী শরীফের শেষ হাদিসের ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে শাইখুল হাদীস বলেন, আল্লাহ তায়ালার যাবতীয় নাম ও গুণাবলীর সমারোহ ঘটেছে দুটি শব্দের মধ্যে। সেই দুটি শব্দ হলো, ‘সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহী সুবহানাল্লাহিল আজীম’। এ দুটি শব্দ উচ্চারণ অনেক হালকা কিন্তু মিযানের পাল্লায় অনেক ভারী। এ দুটি শব্দের ভারে হাশরের ময়দানে বান্দার গুনাহের ওজনে নুয়ে পড়া মিযানের পাল্লা ওজনশূণ্য হয়ে পড়বে।
আল্লামা ফরীদ উদ্দীন মাসঊদ বলেন, বুখারী শরীফের শুরুতেই নিয়তের কথা বলা হয়েছে। কারণ জীবনের সর্বক্ষেত্রে নিয়ত অগ্রগণ্য। নিয়তের উপরই নির্ভর করে আমলের ক্ষেত্রে কী পরিমাপ যুক্ত হবে। কখনো অল্প আমলও নিয়তের কারণে অনেক ওজনদার হয়ে যায়। আবার অনেক বড় আমলও নষ্ট হয়ে যায় নিয়তের কারণে। নিয়তের হাদিস প্রথমে এনে আমলের গুণাগুণ বৃদ্ধির প্রতি ইশারা করেছেন।
বুখারী শরীফের শেষ হাদীসে ‘আমলনামা পাল্লায় ওজন করা’ প্রসঙ্গের ব্যাখ্যা করতে গিয়ে বাংলাদেশ জমিয়তুল উলামার চেয়ারম্যান বলেন, বিজ্ঞানীরা এক সময় বলতো, যে সব জিনিসের আকৃতি নেই, দৈর্ঘ্যপ্রস্থ নেই, সে সব জিনিসের ওজন করা যায় না, মাপা যায় না, তাই আমলনামাও মাপা যাবে না। কিন্তু ইমাম বুখারী (রহ.) বহু আগে প্রমাণ করেছেন যে, অস্তিত্বহীন জিনিষকেও পরিমাপ করা যায়। ইমাম বুখারী যেটা তার যামানায় প্রমাণ করেছেন, বিজ্ঞানীরা কিছুকাল আগে সেটা প্রমাণ করেছে। এখন বলে, বাতাসও পরিমাপ করা যায়।
তিনি বলেন, সুতরাং বলা যায়, বিজ্ঞান সঠিক পথে চললে ইসলামের সাথে বিজ্ঞানের কোনো সংঘাত হবে না। বরং ইসলামের সাথে বিজ্ঞানের মিলন ঘটবে। আর যখনই বিজ্ঞানের সাথে ইসলামের সংঘর্ষ হয়, বুঝতে হবে বিজ্ঞান সঠিক পথে চলেনি।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জমিয়তুল উলামার মহাসচিব ও জামিআ ইকরা বাংলাদেশের সিনিয়র মুহাদ্দিস মাওলানা আব্দুর রহীম কাসেমী, খুলনা মাদানী নগর মাদরাসার মুহতামিম মাওলানা ইমদাদুল্লাহ কাসেমী, ইকরা বাংলাদেশের প্রিন্সিপাল ও বাংলাদেশ জমিয়তুল উলামা ঢাকা মহানগরীর নির্বাহী সভাপতি মাওলানা সদরুদ্দীন মাকনুন, জামিআ ইকরা বাংলাদেশের সিনিয়র মুফতি সাইফুল ইসলাম, মুফতি হামিদুল ইসলাম, মুফতি আমিনুল ইসলাম, মুফতি মুহাম্মাদুল্লাহ ইয়াইয়া, মুফতি রিয়াজুল ইসলাম, মাওলানা শফিকুল ইসলাম প্রমুখ।