‘আল্লামা মাসঊদের সঙ্গে দুআয় শরীক হতে খুবই ভালো লাগে’

‘আল্লামা মাসঊদের সঙ্গে দুআয় শরীক হতে খুবই ভালো লাগে’

অন্যান্য বছরগুলোর মতো এবারও হাজীপাড়া ঝিল মসজিদে রমজানের শেষ দশকে পালন হচ্ছে ‘কিয়ামুল লাইল’ নামাজ। দীর্ঘ এ নামাজে অংশগ্রহণ করতে ছুটে আসছেন সরকারি চাকুরীজীবী থেকে নিয়ে সাধারণ পেশার নানান মানুষ। তাঁদের অনুভূতি নিয়ে পাথেয় টোয়িন্টোফোর আয়োজন করেছে ‘মুখোমুখি রমজান’। রমজানের এ বিশেষ আয়োজনে আজকের অতিথি ব্যবসায়ী মোহাম্মদ রেজাউল হক।

পাথেয়: ইকরা বাংলাদেশ মসজিদ কমপ্লেক্স এ আসতে আপনাকে সবচেয়ে বেশী উদ্বুদ্ধ করেছেন কে? কার মাধ্যমে এ মসজিদে আসতে পারা?

রেজাউল হক: অবশ্যই আমাদের খতীব সাহেব হুজুর(মাওলানা আরীফ উদ্দীন মারুফ সাহেব) আমি বিগত ক’বছর যাবত সবসময়ই ওনার সাথে এখানে আসি, আলহামদুলিল্লাহ। আমলের ক্ষেত্রে উনিই আমাদের গাইডলাইন করেন।

পাথেয়: এখানেই কেন এলেন? অন্য কোথাও তো যেতে পারতেন। অর্থাৎ আপনার মহল্লার মসজিদেও তো কিয়ামুল লাইল পড়তে পারেন।

রেজাউল হক: এটা আসলে খতীব সাহেব হুজুর এবং আল্লামা ফরীদ উদ্দীন মাসউদ সাহেব হুজুরের প্রতি আলাদা রকমের ভালোবাসা থেকেই। এ ছাড়া আমার মনে হয় কোনও বুযুর্গের সান্নিধ্যে থেকে ইবাদত, বন্দেগি করলে আল্লাহ ওটা কবুল করে নেন। সে ভাবনা থেকেই আমার এখানে আসা। যেন আল্লামা ফরীদ উদ্দীন মাসঊদ সাহেব হুজুরের সঙ্গে রাতের এ ইবাদতে শরীক হতে পারি। এটা অন্যরকম ভালো লাগা কাজ করে।

পাথেয়: এই যে মাঝরাত থেকে নিয়ে ভোররাত অবধি দীর্ঘ সময় ইবাদতে কাটাচ্ছেন। এরপর মোনাজাতে বিশেষ কি প্রার্থনা করেন।

রেজাউল হক: চাওয়া তো একটাই ‘ক্ষমা’। আল্লাহ যেন মাফ করে দেন। আমরা চাকুরীজীবী মানুষ। খুউব আগ্রহ থাকা সত্ত্বেও একটা সীমাবদ্ধতায় আটকে থাকতে হয়। অন্যান্য সময় ইবাদতে তেমন মনোযোগী হতে পারি না। তাই অপেক্ষা করি এ মাস’টির। আল্লাহর কাছে সবসময়ই চাই আল্লাহ যেন তার আদেশ সমস্ত পালন করার তাওফিক দেয়। পরকালে যেন মুক্তি মিলে যায়।

পাথেয় : ‘কিয়ামুল লাইল’ পড়ার ব্যাপারে মানুষের কাছে কি ম্যাসেজ রাখবেন?

রেজাউল হক: আমি তো বলবো যাদের সুযোগ আছে তাঁরা কেউ যেন এ আমলটা মিস না করে। আমার ব্যক্তিগতভাবে মনে হয় সারাদিন রোজা, তারাবির পর রাতভর বান্দার এমন ইবাদত আল্লাহ অবশ্যই কবুল করেন।

গ্রন্থনা : কাউসার মাহমুদ
সম্পাদনা : মাসউদুল কাদির

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *