মাহতাব উদ্দীন নোমান
আল্লাহ তাআলা মানুষকে অসংখ্য নেয়ামত দান করেছেন। সুস্থতা ও সম্পদের নেয়ামত, আখলাক ও ইবাদতের নেয়ামত। দিয়েছেন আরও অসংখ্য নেয়ামত। এসবের মাঝে একটি বড়ো নেয়ামত হলো সন্তান। এ নেয়ামতের মূল্য অনুভুত হয় নবীদের কাছ থেকেই। তাদের সন্তান না হলে আল্লাহর কাছে এ নেয়ামত প্রার্থনা করেছেন। নেকসন্তান দানের দোয়া করেছেন।
হজরত জাকারিয়া আলাইহিস সালাম বৃদ্ধ বয়সে দোয়া করেছেন, ‘হে আমার প্রতিপালক! আমি দুর্বল হয়ে পড়েছি। বার্ধক্যে আমার মস্তিষ্ক প্রায় নিস্তেজ। হে আমার প্রতিপালক! আপনার কাছে দোয়া চেয়ে কখনও ব্যর্থ হইনি। আমার পর আমার স্বগোত্রীয়দের সম্পর্কে আমি বড়ো শঙ্কিত। কিন্তু আমার স্ত্রী তো বন্ধ্যা। তাই আপনি আমায় এমন একজন উত্তরাধিকারী দান করুন, যে আমার ও ইয়াকুবের বংশের উত্তরাধিকারীত্ব ধরে রাখবে। হে আমার প্রতিপালক! তাকে করুন সন্তোষভাজন।’ (সুরা মারইয়াম : ৪-৬)
হজরত ইবরাহিম আলাইহিস সালামও আল্লাহর কাছে নেকসন্তান চেয়ে দোয়া করেছেন- ‘হে আমার প্রতিপালক! আপনি আমাকে নেকসন্তান দান করুন।’ (সুরা সাফফাত : ১০০)
নেকসন্তান জীবনের শোভন ও সৌন্দর্য। সুসন্তান পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ সম্পদ। আদর্শ সন্তানের মাধ্যমে দুনিয়া ও আখিরাতে মা-বাবার সম্মান বৃদ্ধি হয়। মৃত্যুর পরও এর সুফল তারা পেতে থাকেন অনন্তকাল। পবিত্র কোরআনে সন্তানকে আল্লাহ তাআলা জীবনের সৌন্দর্য হিসেবে উল্লেখ করেছেন। ইরশাদ হয়েছে, ‘সম্পদ ও সন্তান পার্থিব জীবনের সৌন্দর্য।’ (সুরা কাহাফ : ৪৬)
সন্তান যেন জীবনের সম্পদ ও শোভা হয়ে ওঠে এবং পরকালের নাজাতের উসিলা হয়, এ জন্য ইসলাম মা-বাবাকেও কিছু নির্দেশনা দিয়েছে। যথা-
সুসন্তান লাভের দোয়া করা : সন্তান আল্লাহর দান। আল্লাহ যাকে খুশি তাকে সন্তান দান করেন এবং যাকে খুশি দান করেন না। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘তিনি যাকে ইচ্ছা কন্যাসন্তান দেন, যাকে ইচ্ছা পুত্রসন্তান দেন। আবার কাউকে কন্যা ও পুত্রসন্তান উভয়টি দেন। যাকে ইচ্ছা তিনি বন্ধ্যা করেন। নিশ্চয়ই তিনি সব কিছু জানেন এবং সব কিছুতে সক্ষম।’ (সুরা আশ-শুরা : ৪৯-৫০)
আর সুসন্তান আল্লাহর অনেক বড় অনুগ্রহ। এই অনুগ্রহ লাভের জন্য আল্লাহর দরবারে প্রার্থনা করা আবশ্যক। আল্লাহ কোরআনে মানুষকে সুসন্তান লাভের দোয়া শিখিয়েছেন। এই দোয়াকারী মা-বাবার প্রশংসা করে তিনি বলেছেন, ‘এবং যারা বলে, হে আমাদের প্রভু, আমাদের দান করুন চোখ শীতলকারী স্ত্রী ও সন্তান। আমাদের আপনি খোদাভীরুদের নেতা নির্বাচন করুন।’ (সুরা ফোরকান : ৭৪)
হজরত ইবরাহিম আলাইহিস সালাম এর দোয়া, ‘আমার প্রতিপালক! আপনি আমাকে নেকসন্তান দান করুন।’ (সুরা সাফফাত : ১০০)
নবজাতকের কানে আযান : পরিবারের লোকদের উপর নবজাতকের প্রথম হক ও অধিকার এই যে, সর্বাগ্রে তার কানকে এবং কানের মাধ্যমে তার মন ও মস্তিস্ককে আল্লাহর নাম ও তার তাওহীদ এবং ঈমান ও নামাজের দাওয়াত এর সাথে পরিচিত করে তুলতে হবে। এর সর্বোত্তম পদ্ধতি এটাই হতে পারে যে, তার কানে আযানের বাক্যগুলো শুনিয়ে দেওয়া হবে। আযানের মধ্যে সত্য দ্বীনের মৌলিক শিক্ষা ও আহ্বান অত্যন্ত ফলোদ্দীপক পদ্ধতিতে দেওয়া হয়েছে। তাছাড়া আজানের এতটাই প্রভাব বিভিন্ন হাদিসের বর্ণনা করা হয়েছে যে, এর কারণে শয়তান দূরে পালিয়ে যায়। এ জন্য এটা শয়তান থেকে সন্তানের হেফাজতের একটি বিশেষ তদবীর ও প্রক্রিয়া।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম স্বয়ং নিজে নবজাতকের কানে আযান দিয়েছেন এবং নবজাতক মুসলমান সন্তানের কানে আযান ও ইকামত দেওয়ার তালিম দিয়েছেন, ‘হযরত আবু রাফে থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, যখন হাসান ইবনে আলীকে ফাতেমা (রা.) প্রসব করলেন তখন আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে তার কানে নামাজের আযানের মতো করে আযান দিতে দেখেছি। (তিরমিজিঃ ১৫১৪)
সদ্যভূমিষ্ট শিশুর ডানকানে আযান ও বাম কানে ইকামত দেওয়া হবে।
নবজাতককে তাহনীক করা : রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের পরিচয় ও সাহচর্যের ফলে সাহাবায়ে কেরামের মধ্যে তার সাথে ভক্তি ও সম্মানের বহিঃপ্রকাশ এটাও ছিল যে, নবজাতক সন্তানদেরকে তার খেদমতে নিয়ে আসা হতো, যাতে তিনি তাদের জন্য মঙ্গল ও বরকতের দোয়া করেন। খেজুর অথবা এজাতীয় কোন জিনিস চিবিয়ে বাচ্চার তালুতে লাগিয়ে দেন এবং নিজের মুখের লালা তার মুখে লাগিয়ে দেন- যা শিশুর মঙ্গল ও বরকতের কারণ হবে। এই কাজটিকে তাহনীক বলে।
হযরত আয়েশা রা. থেকে বর্ণিত, ‘রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে শিশুদেরকে নিয়ে আসা হতো। তিনি তাদের জন্য বরকতের দোয়া করতেন এবং তাহনীক করতেন।’ (মুসলিমঃ ২৪৬)
হযরত আসমা বিনতে আবু বকর রা. থেকে বর্ণিত, ‘তিনি আব্দুল্লাহ ইবনে জুবায়েরকে মক্কায় গর্ভে ধারণ করেন। তিনি বলেন, তারপর হিজরত করে যখন মদীনায় আসলাম তখন আমি তাকে কুবাতে প্রসব করি। আমি তাকে নিয়ে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের খেদমতে আসলাম এবং তাকে তার কোলে দিলাম। তিনি একটি খেজুর আনতে বললেন এবং এটা চিবিয়ে নিজের মুখের লালা আব্দুল্লাহর মুখে দিলেন। অতএব সর্বপ্রথম তার পেটে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের লালাই প্রবেশ করেছে। তারপর তার জন্য বরকত ও মঙ্গলের দোয়া করলেন।’ (বুখারীঃ ৫৪৬৯)
সুতরাং সন্তান জন্ম গ্রহণের পরে সর্বপ্রথম আল্লাহর মাকবুল ও নেক বান্দার কাছে নিয়ে যেয়ে তার মাধ্যমে কল্যাণ ও বরকতের দোয়া করানো এবং তাহনিক করানো একটি বিশেষ সুন্নত।
আকীকা করা, মাথার চুল মুণ্ডানো : প্রতিটি সম্প্রদায় এবং পরিবার নিজেদের ঘরে সন্তান জন্ম গ্রহণ করাকে আল্লাহর একটি নেয়ামত ও আনন্দের বিষয় মনে করে এবং কোন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই আনন্দের প্রকাশ ঘটায়। এই অনুষ্ঠানকে আকীকার অনুষ্ঠান বলা হয়। ইসলাম-পূর্ব জাহিলি যুগে এর প্রচলন ছিল। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নীতিগতভাবে এটাকে বহাল রেখেছেন এবং এর প্রতি উৎসাহ দিয়েছেন। তিনি স্বয়ং নিজে আকীকা করেছেন এবং এ ব্যাপারে উপযোগী কিছু দিকনির্দেশনাও দান করেছেন।
সালমান ইবনে আমের রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, সন্তানের সাথে আকীকা থাকে, অতএব সন্তানের পক্ষ থেকে তোমরা পশু জবাই করো এবং তার ময়লা (মাথার চুল ইত্যাদি) পরিষ্কার করে দাও। (বুখারীঃ ৫১৫৪, তিরমিজীঃ ১৫১৫)
সামুরা ইবনে জুনদুব রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘প্রতিটি সন্তান তার আকীকার পশুর বিনিময়ে বন্ধক থাকে, যা তার পক্ষ থেকে সপ্তম দিবসে জবাই করা হয় এবং তার মাথা মুণ্ডানো হয় আর নামও রাখা হয়।’ (ইবনে মাজাহঃ ২৫৮০, আবু দাউদঃ ২৮৩৭)
আকীকার জন্য ছেলেশিশুর ক্ষেত্রে দুই টি ছাগল এবং মেয়েশিশুর একটি ছাগল জবাই করা মুস্তাহাব।
আবদুল্লাহ ইবনে আমর ইবনে আস রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘যার কোন সন্তান জন্মগ্রহণ করে আর সে তার পক্ষ থেকে আকীকার পশু জবেহ করতে চায়, সে যেন পুত্র সন্তানের পক্ষ থেকে দুটি ছাগল আর কন্যা সন্তানের পক্ষ থেকে একটি ছাগল জবাই করে।’ (আবু দাউদঃ ২৮৪২, নাসায়ীঃ ৪২১২)
আকীকার পশু নর বা মাদি যেকোনোটা হতে পারে। হযরত উম্মে কুরয রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘পুত্র সন্তানের পক্ষ থেকে দুটি ছাগল আর কন্যা সন্তানের পক্ষ থেকে একটি ছাগল (আকীকা করা হবে) আর পশু নর বা মাদী হওয়ায় তোমাদের কোন ক্ষতি নাই।’ (নাসায়ীঃ ৪২২৯)
কর্তিত চুলের ওজন পরিমান রূপা বা তার মূল্য সদকা করা : শিশুর মাথা মুণ্ডানোর পর কর্তিত চুল ওজন করে সমপরিমাণ রূপা অথবা এর মূল্য সদকা করে দেবে।
হযরত আলী রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হাসানের আকীকায় একটি ছাগল জবাই করলেন এবং বললেন, ‘হে ফাতেমা! তুমি তার মাথার চুল মুণ্ডায়ে দাও এবং চুলের ওজন সমপরিমাণ রুপা সদকা করে দাও। হযরত আলী বলেন, অতঃপর আমরা চুলের ওজন করলাম এবং তার ওজন এক দিরহাম বা কিছু কম ছিল।’ (তিরমিজিঃ ১৫১৯)
সুন্দর নাম রাখা : সুন্দর ও অর্থবহ নাম সন্তানের গুরুত্বপূর্ণ অধিকার। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সন্তান জন্মের সাত দিনের ভেতর তার নাম রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। সন্তানের নাম সুন্দর ও অর্থবহ হওয়া আবশ্যক। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অনেক সাহাবীর নাম ইসলাম গ্রহণের পর পরিবর্তন করে দিয়েছিলেন। কেননা তাঁদের নাম ইসলামী ভাবাদর্শের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ছিল অথবা তাঁদের নাম অর্থপূর্ণ ছিল না। যেমন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম জুয়াইরিয়া (রা.)-এর নাম ‘বাররাহ’ পরিবর্তন করে জুয়াইরিয়া রাখেন। (মুসলিমঃ ২১৪০)
সন্তানের নাম রাখার ব্যাপারে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, ‘কিয়ামতের দিন তোমাদেরকে তোমাদের নামে এবং তোমাদের পিতাদের নামে ডাকা হবে। সুতরাং তোমরা সুন্দর নাম রাখো।’ (আবু দাউদঃ ৪৯৪৮)
আল্লাহর কাছে সর্বাধিক প্রিয় নাম : আব্দুল্লাহ বিন ওমর রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, তোমাদের নামগুলোর মধ্যে আল্লাহর কাছে সর্বাধিক প্রিয় নাম হল আব্দুল্লাহ ও আব্দুর রহমান। (মুসলিমঃ ২১৩২)
আবু ওহাব রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘নামগুলোর মধ্যে আল্লাহর কাছে সর্বাধিক প্রিয় নাম হল আব্দুল্লাহ ও আব্দুর রহমান। হারেস ও হাম্মাম নামও ভালো। হারব ও মুররা নাম দু’টি সর্বাধিক অপছন্দনীয়।’ (আবু দাউদঃ ৪৯৫০)
একইভাবে তিনি অর্থহীন, শ্রুতিকটু ও মন্দ অর্থের নাম রাখতে নিষেধ করেছেন। হযরত সামুরাহ রা. বলেন, ‘তোমরা তোমাদের ছেলেদের নাম ইয়াসার, রাবাহ, নাজাহ ও আফলাহ রেখো না।’ (মুসলিমঃ ২১৩৬)
দুই বছর পর্যন্ত মায়ের বুকের দুধ পান করানো : সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর তার জন্য সবচাইতে উপযোগী এবং উত্তম খাবার হলো মায়ের বুকের দুধ। নবজাতকের স্বভাব ও চাহিদা অনুযায়ী আল্লাহ তাআলা তার খাদ্য মায়ের বুকে ব্যবস্থা করে রেখেছেন। একজন মা সর্বপ্রথম সন্তানকে দুধ পান করানোর সময় সন্তান প্রসবের ব্যথা এবং বেদনা এক নিমিষেই ভুলে যায়। মা হওয়ার আনন্দটা পরিপূর্ণ হয়ে ওঠে। ভালোবাসা ও স্নেহভরে নিজের সন্তানকে দুধ পান করায়।
সন্তানকে দুধ পান করানো একজন মায়ের নৈতিক দায়িত্ব। তবে অসুস্থতা বা অন্য কোনো প্রয়োজনে যদি সে দুধ পান করাতে অস্বীকৃতি জানায়, তাহলে তাকে দুধ পান করানোর জন্য জোর জবরদস্তি করা যাবে না। তখন বাবার সামর্থ্য থাকলে সে নিজের সন্তানের জন্য একজন দুধদাত্রী মহিলাকে ভাড়া করে দুধ পান করানোর ব্যবস্থা করবে।
কুরআন শরীফে আছে, ‘যে স্তন্যপানকাল পূর্ণ করিতে চায় তাহার জন্য জননীগণ তাদের সন্তানদেরকে পূর্ণ দুই বছর স্তন্যপান করাবে। জনকের কর্তব্য যথাবিধি তাদের ভরণ-পোষণ করা। কাউকে তার সাধ্যাতীত কার্যভার দেওয়া হয় না। কোন জননীকে তার সন্তানের জন্য এবং কোন জনককে তার সন্তানের জন্য ক্ষতিগ্রস্ত করা হবে না।’ (সুরা বাকারাঃ ২৩৩)
আল্লাহ রাব্বুল আলামীন আমাদের সকলকে এই ইসলামী অনুশাসন অনুযায়ী নিজেদের সন্তানদের প্রতিপালন করার তৌফিক দান করুন। আমীন।
লেখক: খতীব ও শিক্ষক
আরও পড়ুন: সমাজ বিধ্বসংসী পরকীয়া