পাথেয় রিপোর্ট : ফিলিস্তিনের বায়তুল মুকাদ্দাস বা আল-আকসা মসজিদের প্রধান খতিব মুফতি মোহাম্মদ আহমাদ হোসাইন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মাজার জিয়ারত করেছেন।
রোববার (২৩ ডিসেম্বর) দুপুর সোয়া ১২ টায় তিনি বঙ্গবন্ধুর সমাধী সৌধের বেদীর সামনে দাঁড়িয়ে ফাতেহাপাঠ ও বিশেষ মোনাজাত করেন। পরে তিনি বঙ্গবন্ধুর কবর জিয়ারত করেন। এরপর তিনি বঙ্গবন্ধু ভবনে রক্ষিত পরিদর্শন বইতে মন্তব্য লেখেন ও স্বাক্ষর করেন।
দুপুর ১২ টায় আল-আকসা মসজিদের প্রধান খতিব মোহাম্মদ আহমাদ হোসাইন হেলিকপ্টার যোগে ঢাকা থেকে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া আসেন। পরে সড়ক পথে বঙ্গবন্ধুর সমাধী সৌধে আসেন।
মোনাজাত ও সূরা ফাতেহা পাঠের সময় খতিবের সেক্রেটারী অফিসার মোস্তফা, বাংলাদেশে নিযুক্ত ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত ইউসুফ রামাদান, ইরান-বাংলাদেশ চেম্বার অব কর্মাসের সভাপতি ড. কাজী এরতেজা হাসান, টুঙ্গিপাড়া উপজেলা চেয়ারম্যান গাজী গোলাম মোস্তফা, টুঙ্গিপাড়া পৌরসভার মেয়র শেখ আহমেদ হোসেন মির্জা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
রাশিয়াভিত্তিক সংগঠন ইউনাইটেড মুসলিম উম্মাহ ফাউন্ডেশন ও ঢাকার ফিলিস্তিন দূতাবাসের আমন্ত্রণে তার এই বাংলাদেশ সফর। সফরে তিনি একটি আন্তর্জাতিক সেমিনারে অংশ নেবেন। সেমিনারের আয়োজক ইউনাইটেড মুসলিম উম্মাহ ফাউন্ডেশনের মহাসচিব ড. কাজী এরতেজা হাসান জানান, গ্র্যান্ড মুফতির প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গেও সাক্ষাতের কথা রয়েছে। এ ছাড়া তিনি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতিবিজড়িত ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু জাদুঘরে এবং টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করতে যাবেন।
গ্র্যান্ড মুফতি শেখ মুহাম্মদ আহমেদ হোসেনের বাংলাদেশ সফরের মধ্য দিয়ে নতুন ইতিহাস তৈরি হবে। তার মতো বুজুর্গ ব্যক্তির আগমনে ইসলামপ্রিয় দেশ হিসেবে বিশ্বে বাংলাদেশের মর্যাদা সমুন্নত হবে। বাংলাদেশ ও ফিলিস্তিনের মধ্যে নতুন করে সেতুবন্ধুন তৈরি হবে।
মসজিদুল আকসা (আরবি: المسجد الاقصى) (আল-আকসা মসজিদ বা বাইতুল মুকাদ্দাস নামেও পরিচিত) ইসলামের তৃতীয় পবিত্রতম মসজিদ। জেরুজালেমের পুরনো শহরে এটি অবস্থিত। এটির সাথে একই প্রাঙ্গণে কুব্বাত আস সাখরা, কুব্বাত আস সিলসিলা ও কুব্বাত আন নবী নামক স্থাপনাগুলো অবস্থিত। স্থাপনাগুলো সহ এই পুরো স্থানটিকে হারাম আল শরিফ বলা হয়। এছাড়াও স্থানটি “টেম্পল মাউন্ট” বলে পরিচত এবং ইহুদি ধর্মে পবিত্র বলে বিবেচিত হয়। ইসলামের বর্ণনা অণুযায়ী মুহাম্মদ (সা) মিরাজের রাতে মসজিদুল হারাম থেকে আল-আকসা মসজিদে এসেছিলেন এবং এখান থেকে তিনি ঊর্ধ্বাকাশের দিকে যাত্রা করেন।