২৬শে মার্চ, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ , ১২ই চৈত্র, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ , ৩রা রমজান, ১৪৪৪ হিজরি
পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের পবিত্র ধর্মগ্রন্থ কুরআন থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে খেজুরের তেল তৈরি করছেন এক ব্যক্তি। আলজেরিয়ার এক উদ্যোক্তা এরইমধ্যে খুলে ফেলেছেন ফ্যাক্টরিও। তার দাবি, অত্যাধুনিক পদ্ধতিতে উৎপাদিত এই তেল বেশ উপকারী। ভবিষ্যতে নিজ দেশের বাইরেও খেজুরের তেল রফতানির আশা তার।
সুস্বাদু খাবার খেজুরের সুখ্যাতি আছে বিশ্বজুড়েই। খাবার হিসেবে এই পণ্যের জনপ্রিয়তা থাকলেও তেলের তেমন প্রচলন নেই। খেজুর খাওয়ার পর সাধারণত এর বীজ ফেলে দেয়া হয়। সেই ফেলা দেয়া বীজ থেকেই তেল বানাচ্ছেন আফ্রিকার দেশ আলজেরিয়ার এক উদ্যোক্তা। তার দাবি মুসলিমদের ধর্মগ্রন্থ কোরআন থেকে অনুপ্রাণিত হয়েই তিনি খেজুর থেকে তেল তৈরি করেছেন।
কুরআনে বেশ কয়েকবারই উঠে এসেছে খেজুরের নাম। আর তা থেকেই খেজুর নিয়ে আগ্রহ জন্মায় আমের নামের এই আলজেরিয়ানের। এরপরই শুরু করেন খেজুর নিয়ে নানা গবেষণা। দীর্ঘ ১১ বছরের গবেষণায় বুঝতে পারেন খেজুর তেলের উপকারিতা।
খেজুরের তেল প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান ইনোভাপামের প্রতিষ্ঠাতা আমের খেন্নাও বলেন, ১১ বছর ধরে আমি এটা নিয়ে ভাবছি। কুরআনে খেজুর গাছের কথা অনেকবার উল্লেখ আছে। কাজেই আমি বুঝতে পারি খেজুর খুবই বরকতময় একটি গাছ। আমি অর্থনৈতিকভাবে খেজুরের বীজকে কীভাবে কাজে লাগানো যায় সে উপায় খুঁজতে শুরু করি। পরে তেল বানানোর এই প্রকল্প হাতে নেই।
তিনি আরও বলেন, আমাদের প্রধান উপাদানই হচ্ছে খেজুরের বীজ। বৈজ্ঞানিক উপায়ে এবং আধুনিক সব সরঞ্জাম ব্যবহার করে তেল বের করা হয়। আমরা এ কাজে কাঁচা খেজুর ব্যবহার করি। প্রসাধনী, ওষুধ শিল্প এবং খাদ্যসামগ্রী তৈরিতে এই তেল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটি শতভাগ প্রাকৃতিক তেল। আশাকরছি, দেশের বাইরেও এই তেল রফতানি করতে পারবো।
চার মাস আগে চালু করেন তেল তৈরির ফ্যাক্টরি। ইনোভাপাম নামের এই ফ্যাক্টরিতে কোল্ড প্রেসিংয়ের মাধ্যমে বীজ থেকে তেল তৈরি করা হয়। এক লিটার তেল উৎপাদনে প্রয়োজন দুই থেকে তিন টন খেজুর বীজ।