২৯শে মে, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ , ১৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ , ৮ই জিলকদ, ১৪৪৪ হিজরি

আশরাফুলের রেকর্ড ভেঙে লিটনের দ্রুততম হাফসেঞ্চুরি

পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : আয়ারল্যান্ডের লেগ স্পিনার বেন হোয়াইটের বল স্কয়ার লেগে ঠেলে দিলেন লিটন দাস। ডানহাতি ওপেনার দৌড়ে নিলেন সিঙ্গেল। রান পূর্ণ করার পরই সগর্বে তিনি উঁচিয়ে ধরলেন ব্যাট। টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের পক্ষে দ্রুততম ফিফটির রেকর্ড হয়ে গেল তার।

২০০৭ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে মোহাম্মদ আশরাফুল ২০ বলে হাফ সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন। এতদিন ওটাই ছিল বাংলাদেশের হয়ে কারও দ্রুততম হাফ সেঞ্চুরির রেকর্ড। ১৬ বছর পর আশরাফুলের সেই রেকর্ড ভাঙলেন লিটন দাস। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সর্বকনিষ্ঠ টেস্ট সেঞ্চুরিয়ান আশরাফুলের চেয়ে দুই বল কম খেলে হাফসেঞ্চুরির নতুন রেকর্ড গড়েছেন তিনি।

চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে বৃষ্টির কারণে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি কার্টেল ওভারে গড়িয়েছে। নির্ধারিত ১৭ ওভারের ম্যাচটিতে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরু থেকেই তাণ্ডব চালান লিটন। প্রথম তিন ওভার কিছুটা রয়েসয়ে খেললেও পাওয়ার প্লের শেষ দুই ওভারে ২ ছক্কা আর ৪ চারে ৪৯ রানে পৌঁছান তিনি। আশরাফুলের রেকর্ড ছাড়িয়ে যেতে লিটনের তখন প্রয়োজন ১ রান। পরের ওভারে একটি সিঙ্গেল নিয়ে লিটন বাংলাদেশের হয়ে রেকর্ড গড়ে ফেলেন।

বছর আগে ২০০৭ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আশরাফুল ২০ বলে হাফ সেঞ্চুরি তুলে রেকর্ড গড়েছিলেন। জোয়ানেসবার্গে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওই ম্যাচে আশরাফুলের এমন রেকর্ডময় ইনিংসের পর জিতেছিলো বাংলাদেশ। ২০ বলে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেওয়া আশরাফুল শেষ পর্যন্ত ২৭ বলে ৬১ রানের ইনিংস খেলে দলকে জিতিয়েছিলেন।

লম্বা সময় পর আশরাফুলকে ছাড়িয়ে গেলেন লিটন। গত বছর অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষেও আশরাফুলকে ছাড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ এসেছিল লিটনের। কিন্তু ২১ বলে হাফসেঞ্চুরিতে পৌঁছানো লিটন ১ বল বেশি খেলে সুযোগ হাতছাড়া করেছেন। তবে খুব বেশিদিন সময় নেননি ডানহাতি এই ব্যাটার।

টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে সবচেয়ে দ্রুতগতিতে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেওয়ার রেকর্ড অবশ্য যুবরাজ সিংহের। ২০০৭ সালে ডারবানে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ১২ বলে হাফ সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন।

বাংলাদেশের হয়ে দ্রুততম ৫ হাফ সেঞ্চুরিয়ান

১. লিটন দাস (১৮ বল), প্রতিপক্ষ-আয়ারল্যান্ড; ২০২৩
২. মোহাম্মদ আশরাফুল (২০ বল), প্রতিপক্ষ- ওয়েস্ট ইন্ডিজ; ২০০৭
৩. লিটন দাস (২১ বল), প্রতিপক্ষ-ভারত; ২০২২
৪. আফিফ হোসেন (২৪ বল), প্রতিপক্ষ জিম্বাবুয়ে; ২০১৯
৫. মুশফিকুর রহিম (২৪ বল), প্রতিপক্ষ শ্রলীঙ্কা; ২০১৮

শেয়ার করুন


সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ১৯৮৬ - ২০২৩ মাসিক পাথেয় (রেজিঃ ডি.এ. ৬৭৫) | patheo24.com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com