আসামে বাতিল হলো মুসলিম বিবাহ ও বিচ্ছেদ আইন

আসামে বাতিল হলো মুসলিম বিবাহ ও বিচ্ছেদ আইন

পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম: ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য আসামে মুসলমান বিবাহ ও বিচ্ছেদ নথিভুক্তকরণ আইন (১৯৩৫) বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। রাজ্যের ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) সরকার ইউনিফর্ম বা অভিন্ন সিভিল কোড আইন (ইউসিসি) কার্যকরের লক্ষ্যে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।

প্রতিবেদনে বলা হয়, এত দিন সংশোধিত আইনে মুসলিম নিবন্ধকের (রেজিস্ট্রার) মাধ্যমে মুসলিম বিবাহ ও বিচ্ছেদের নিবন্ধন করা হতো। এই আইন বাতিলের ফলে মুসলমানদের বিবাহ ও বিচ্ছেদ নথিভুক্ত করতে এখন আর কাজির প্রয়োজন হবে না।

এর আগে দেশটির আরেক রাজ্য উত্তরাখন্ডের সরকার সব ধর্ম-বর্ণের জন্য একই ধরনের বিয়ে, তালাক, উত্তরাধিকারসহ অন্যান্য সাধারণ আইন প্রবর্তনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত শর্মার নেতৃত্বাধীন সরকার ২৮ ফেব্রুয়ারি বিধানসভার বাজেট অধিবেশনের সময় ইউসিসি বিলটি উপস্থাপন করতে পারে জানা গেছে।

আসামের মন্ত্রী জয়ন্ত মাল্লা বড়ুয়া জানান, মন্ত্রিসভা মুসলিম বিবাহ এবং বিবাহবিচ্ছেদ নিবন্ধন আইন বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সরকার এখন এ ধরনের সব বিষয়কে বিশেষ বিবাহ আইনের আওতায় আনতে চায়।

তিনি বলেন, “সব মুসলমান বিবাহ-সম্পর্কিত বিষয় এখন বিশেষ বিবাহ আইনের অধীনে পরিচালিত হবে। বর্তমানে আসামে যে ৯৪ জন কাজি রয়েছেন, তাদের প্রত্যেককে এককালীন দুই লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।”

মুসলমান বিবাহ আইন বাতিলের ফলে রাজ্যে বাল্যবিবাহ কমবে বলেও মন্তব্য করেন মল্লবড়ুয়া।

ভারতে যে বিশেষ বিবাহ আইন (স্পেশাল ম্যারেজ অ্যাক্ট) রয়েছে, তার অধীনে সব সম্প্রদায়ের জন্য একটি ধর্মনিরপেক্ষ ও আইনি বৈবাহিক কাঠামো (অভিন্ন দেওয়ানি বিধি) দেশজুড়ে চালু করা উচিত বলে বিজেপি মনে করে। এই আইনের অধীনে পারিবারিক সম্পত্তি ভাগ হওয়ার বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

তবে এই আইনের বিরোধীদের বক্তব্য, এর ফলে নির্দিষ্ট উপজাতি, জাতি ও ধর্মের মানুষের নিজস্ব সাংস্কৃতিক, বৈবাহিক এবং ব্যক্তিগত সম্পত্তি বণ্টনের স্বাধীনতা বাধাগ্রস্থ হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *