২৯শে মে, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ , ১৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ , ৮ই জিলকদ, ১৪৪৪ হিজরি
পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : রমযান শেষের আগেই নিজের হিসাব নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন শোলাকিয়া ঈদগাহের গ্র্যান্ড ইমাম, বাংলাদেশ জমিয়তুল উলামার চেয়ারম্যান, শাইখুল ইসলাম আল্লামা ফরীদ উদ্দীন মাসঊদ।
শুক্রবার (২১ এপ্রিল) ইকরা ঝিল মসজিদ কমপ্লক্সে জুমার বয়ানে ফিদায়ে মিল্লাত রহ.–এর এই খলীফা এ আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, আল্লাহ তাআলার মেহেরবানী, ফযল ও করম যে, তিনি আমাদেরকে রমযানের প্রথম দশক কাটানোর তাওফিক দান করেছেন। এরপর মাগফিরাতের দশকও অতিবাহিত করার তাওফিক দিয়েছেন। এখন জাহান্নাম থেকে মুক্তির সময় চলছে। সেটাতেও আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে হাযির রেখেছেন। আলহামদুলিল্লাহ।
শোলাকিয়া ঈদগাহের গ্র্যান্ড ইমাম বলেন, হায়! রমযান আমাদের থেকে বিদায় নিয়ে চলে যাচ্ছে। আগামী বছর রমযান পাবো কি পাবো না সেটা আল্লাহ তাআলাই ভালো জানেন। অনেক ভাই রমযানে চলে গেছেন। কেউ কেউ ইফতার করতে গিয়েই চলে গেছেন। একেক জনকে আল্লাহ তাআলা একেকভাবে কবুল করেছেন। আমাদেরকেও আল্লাহ তাআলা তাঁর খাস বান্দাদের মাঝে যেন কবুল করে নেন সেই দুআ করি।
পড়ুন : শোলাকিয়ার ১৯৯৬তম জামাত, থাকবেন গ্র্যান্ড ইমাম আল্লামা মাসঊদ
ঈদের সম্ভাব্য তারিখ জানাতে গিয়ে বাংলাদেশ জমিয়তুল উলামার চেয়ারম্যান বলেন, আজকে যদি চাঁদ দেখা যায় সেটা হবে বিরল জিনিস। তাহলে রমযান শুরু হলো শুক্রবার দিয়ে, আবার রমযান শেষও হবে শুক্রবার দিয়ে। আমার জীবনে এমন আর ঘটেনি। আর যদি আজকে চাঁদ না দেখা যায়, তাহলে তো ইনশাআল্লাহ রবিবার ঈদ হবে।
রমযানের শেষ মুহূর্তগুলো কাজে লাগানোর আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, রমযানের আর অল্প কিছু সময় বাকী আছে। এই শেষ সময়গুলোকে আমাদের কাজে লাগাতে হবে। আল্লাহর কাছে জাহান্নাম থেকে মুক্তির দুআ করতে হবে। এখন আল্লাহর দরবারে ব্যাকুল হয়ে কান্নাকাটি করা উচিত, বেশি বেশি যিকির-আযকার করা উচিত। আল্লাহ তাআলা যেন রমযানের সমস্ত নূর, রমযানের সমস্ত ফযিলত, রমযানের সমস্ত সোওয়াব, রমযানের সমস্ত মাগফিরাত, রমযানের সমস্ত রহমত আমাদেরকে দিয়ে দেন এবং জাহান্নাম থেকে মুক্তিপ্রাপ্তদের তালিকায় আামাদের নাম অন্তর্ভুক্ত করেন।
আল্লামা মাসঊদ বলেন, ভাই, রমযান পাওয়াটা আমাদের শক্তির ভেতরে নাই, রমযান অতিবাহিত হওয়াটাও আমাদের শক্তির মধ্যে নাই; এটা সম্পূর্ণ আল্লাহ তাআলার মর্জির উপর। সারা বছরের মধ্যে একবার আল্লাহ তাআলা সুযোগ করে দিয়েছিলেন আল্লাহ তাআলাকে পাওয়ার। আমরা নিজেদেরকে জিজ্ঞেস করি, আল্লাহ তাআলা যে আমাদেরকে সুযোগ দিয়েছিলেন আমরা কাজে লাগাতে পেরেছি কিনা? আমি যদি এই সুযোগটা নষ্ট করি, তাহলে আমার চেয়ে কপাল পোড়া আর নাই। আল্লাহ তাআলা আমাকেও মাফ করুক। আপনাদের সবাইকে মাফ করুক। আমীন।