২০২৩-২৪ অর্থবছরের জুলাই-আগস্ট মাসে পূর্ববর্তী অর্থবছরের (২০২২-২৩) একই সময়ের তুলনায় বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় রপ্তানি গন্তব্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানি ২ দশমিক ৯৫ শতাংশ বেড়ে ১ দশমিক ৪২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে ১ দশমিক ৪৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে দাঁড়িয়েছে।
উল্লিখিত সময়ের মধ্যে ইইউ বাজারে পোশাক রপ্তানি গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ১১ দশমিক ৮১ শতাংশ বেড়ে ৩ দশমিক ৪৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে ৩ দশমিক ৮৫ বিলিয়ন হয়েছে।
বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম রপ্তানি গন্তব্য, জার্মানিতে রপ্তানি বছরওয়ারিভাবে ৬ দশমিক ২৯ শতাংশ হ্রাস পেয়ে ৯৯৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে।
এছাড়া স্পেন, ফ্রান্স, ইতালি, নেদারল্যান্ডস এবং পোল্যান্ডের মতো ইউরোপীয় ইউনিয়নের কিছু বড় বাজারে রপ্তানিও যথাক্রমে ২৬ দশমিক ৯৪ শতাংশ, ৮ দশমিক ৪৫ শতাংশ, ২৮ দশমিক ৭৩ শতাংশ, ১৮ দশমিক ৯৫ শতাংশ এবং ২৬ দশমিক ৩৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে বিজিএমইএ।
২০২৩-২৪ অর্থবছরের জুলাই-আগস্ট মাসের মধ্যে যুক্তরাজ্য এবং কানাডায় রপ্তানি ৯৭৬ দশমিক ৭৫ মিলিয়ন এবং ২৪৩ দশমিক ৪৪ মিলিয়নে মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে এবং উভয় বাজারে প্রবৃদ্ধি হয়েছে যথাক্রমে ১৯ দশমিক ১৪ শতাংশ এবং ৭ দশমিক ২২ শতাংশ।
একই সময়ে অপ্রচলিত বাজারে আমাদের পোশাক রপ্তানিও ২১ দশমিক ৯৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ১ দশমিক ৪৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে। প্রধান অপ্রচলিত বাজারগুলোর মধ্যে, জাপান, অস্ট্রেলিয়া এবং দক্ষিণ কোরিয়ায় রপ্তানি যথাক্রমে ৩৩ দশমিক ৯৭ শতাংশ, ৪৯ দশমিক ৫২ শতাংশ এবং ১৯ দশমিক ৫১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে, ভারতে আমাদের পোশাক রপ্তানি কমেছে ৩ দশমিক ১৪ শতাংশ।
এ বিষয়ে বিজিএমইএর পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল বলেন, অপ্রচলিত বাজারে আমরা ভালো করছি। ইউরোপে আমাদের বড় বাজার ছিল, সেটা এখনো আছে। যুক্তরাষ্ট্রেও আমরা কম বেশি একই জায়গায় আছি। যুক্তরাজ্যে একক দেশ হিসেবে বাড়ছে। অর্থনৈতিক পরিস্থিতি এবং সার্বিক পরিবেশ ভালো হলে বাংলাদেশ আরও ভালো করবে। তবে, বাজারে ক্রয়াদেশ থাকতে হবে, চাহিদা থাকতে হবে।