ইউক্রেনে ৩০০ মিলিয়ন ডলারের অস্ত্র সহায়তা দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

ইউক্রেনে ৩০০ মিলিয়ন ডলারের অস্ত্র সহায়তা দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম: রাশিয়ার আগ্রাসন মোকাবিলায় ইউক্রেনের জন্য আবারও বিপুল পরিমাণ সামরিক সহায়তা প্যাকেজ ঘোষণা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। নতুন এই সহায়তা প্যাকেজের পরিমাণ ৩০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। ডিসেম্বরের পর এই প্রথম এ রকম ঘোষণা এলো।

প্রতিরক্ষা কর্মকর্তারা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্র সেনাবাহিনীর অস্ত্র কেনার ব্যয়ে সাশ্রয়ের মাধ্যমে এই ‘অ্যাডহক’ প্যাকেজ সম্ভব হয়েছে। তবে মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগন ব্যাপক ঘাটতিতে থাকার বিষয়টি স্বীকার করেছে।

জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান মঙ্গলবার হোয়াইট হাউসে এই প্যাকেজ ঘোষণা করে বলেন, প্যাকেজে আর্টিলারি আর হিমারস রকেট লঞ্চারের জন্য গোলাবারুদ থাকবে, যা ইউক্রেনের ফ্রন্ট লাইনে জরুরি প্রয়োজন।

হোয়াইট হাউসে ঘোষণার আগে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন কর্মকর্তা বলেন, কয়েক মাস ধরে, কয়েকটি ক্রয় চুক্তি নিয়ে দরকষাকষি করে সেনাবাহিনী বাজেটে বরাদ্দ দামের চেয়ে আরও কম দামে বেশ কিছু জিনিস কিনতে পেরেছে, ফলে সাশ্রয় হয়েছে। এটা অ্যাডহক বা এককালীন ব্যাপার। আমরা জানি না ভবিষ্যতে কখন বা আদৌ আর কোনো সাশ্রয় হবে কিনা এবং আমরা নিশ্চয়ই এভাবেই আমাদের কাজ চালিয়ে যেতে পারব না।

একটি উদাহরণ অনুযায়ী, ২৫ মিমি কামানের গোলার দাম প্রাথমিকভাবে ১৩০ ডলার ধরা হয়েছিল। কিন্তু দরকষাকষি করে সেটা কমিয়ে ৯৩ ডলার করা সম্ভব হয়। বেঁচে যাওয়া অর্থ তখন ইউক্রেনের জন্য আমেরিকান সাহায্যের তহবিলে রাখা হয়। প্রতিরক্ষা কর্মকর্তারা বলছেন, এই প্রক্রিয়া আগেও কয়েকবার হয়েছে কিন্তু তখন তহবিলে টাকা ছিল, তাই সেটা খরচ করার মতো কিছু ছিল না।

নতুন এই সাহায্য প্যাকেজ তৈরি করা হয়েছে যখন পেন্টাগন নিজেই এক হাজার কোটি ডলারের ঘাটতির মুখে। ইউক্রেনকে ইতোমধ্যে যে অস্ত্র আমেরিকার নিজস্ব ভাণ্ডার থেকে দেওয়া হয়েছে, সেগুলো যুক্তরাষ্ট্র সেনাবাহিনীর জন্য পুনরায় সংগ্রহ করার জন্য এই অর্থ প্রয়োজন। প্রতিরক্ষা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই ঘাটতি মেটাতে তাদের কংগ্রেসের কাছে অতিরিক্ত অর্থ বরাদ্দ চাইতে হবে।

পেন্টাগন কর্মকর্তারা ধারণা করেছিলেন যে, বাইডেন প্রশাসন কংগ্রেসের কাছে যে সম্পূরক তহবিলের অনুরোধ করেছিলেন, সেখান থেকেই সেনাবাহিনীর অস্ত্রের মজুদ পুনরায় ভরার টাকা আসবে। কিন্তু সেই সম্পূরক অনুরোধে, ইউক্রেন, ইসরাইল এবং তাইওয়ানের জন্যও হাজার হাজার কোটি ডলার অতিরিক্ত সাহায্য চাওয়া হয়েছে। বাইডেন প্রশাসনের সঙ্গে সরকারি অর্থ ব্যয় এবং সীমান্ত নিরাপত্তা নিয়ে মতবিরোধের কারণে কংগ্রেস এই সম্পূরক সাহায্য বিল অনুমোদন করেনি।

ইউক্রেনের জন্য কংগ্রেস শেষবার অর্থ অনুমোদন করে ১৫ মাস আগে। সে কারণে প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন ভবিষ্যতে অর্থ তোলার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

প্রতিরক্ষা বিভাগের হাতে এখনো ইউক্রেনকে অস্ত্র পাঠানোর জন্য ৪০০ কোটি ডলারের অনুমোদিত তহবিল আছে। কিন্তু পেন্টাগনের অস্ত্র মজুত পূর্ণ করার জন্য কংগ্রেস থেকে প্রয়োজনীয় অর্থের অনুমোদন তাদের নেই।

 

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *