১১ই জুন, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ , ২৮শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ , ২১শে জিলকদ, ১৪৪৪ হিজরি
পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : রাশিয়া ইউক্রেনে অভিযান শুরু করার পর প্রায় ২৫০ জন বাংলাদেশি ইউক্রেন ছেড়ে প্রতিবেশী পোল্যান্ডে যেতে চাচ্ছে। পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহিরয়ার আলম গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এই তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ইউক্রেন ছাড়তে আগ্রহী বাংলাদেশিরা যাতে পোল্যান্ডে ঢুকতে পারে, সে ব্যাপারে সহায়তা দেওয়ার চেষ্টা চলছে। কনস্যুলারসেবা দিতে ইতালি ও জার্মানির বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে পোল্যান্ডের ওয়ারশে বাংলাদেশ দূতাবাসে কর্মকর্তা পাঠানো হচ্ছে।
ইউক্রেন থেকে বাংলাদেশিরা পোল্যান্ডে যাওয়ার পর তাদের দেশে ফিরিয়ে আনতে বিশেষ ফ্লাইটের ব্যবস্থা করবে সরকার।
এদিকে ইউক্রেনে সহিংসতা বৃদ্ধিতে গভীর উদ্বেগ জানিয়েছে বাংলাদেশ। ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গতকাল সন্ধ্যায় এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘এই ধরনের সহিংসতা পুরো অঞ্চলের শান্তি ও স্থিতিশীলতায় মারাত্মক প্রভাব ফেলবে। তাই আমরা সব পক্ষকে সর্বোচ্চ সংযম, বৈরিতার অবসান ঘটিয়ে এবং কূটনীতি ও আলোচনায় ফিরে আসার মাধ্যমে এই সংকট সমাধানের চেষ্টা করার আহবান জানাই। ’
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, ‘এরই মধ্যে আমরা ইউক্রেনে থাকা বাংলাদেশিদের নিরাপদ স্থানে এবং প্রয়োজনে পোল্যান্ডে যেতে বলেছি। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পোল্যান্ডে বাংলাদেশ দূতাবাসের সঙ্গে নিবিড় সমন্বয় বজায় রেখেছে। প্রত্যাবাসনপ্রক্রিয়ার সুষ্ঠু সমন্বয়ের জন্য এরই মধ্যে ওয়ারশে বাংলাদেশ দূতাবাসকে অতিরিক্ত জনবল ও সম্পদ দিয়ে শক্তিশালী করা হয়েছে। সব ধরনের কনস্যুলার সহায়তা বিনা মূল্যে দেওয়া হচ্ছে। ’
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আরো বলেছে, এই অঞ্চলে এবং এর বাইরে অর্থনীতি ও অন্যান্য ক্ষেত্রে ইউক্রেন সংকটের সম্ভাব্য প্রভাবগুলো তারা পর্যবেক্ষণ করছে।
এর আগে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ‘ইউক্রেনে বসবাসকারী বাংলাদেশিদের নিয়ে আমাদের দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত একটা হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ করে তাদের মতামত নিচ্ছেন। আমাদের সর্বশেষ হিসাবে প্রায় আড়াই শ বাংলাদেশি সেই গ্রুপের সদস্য হয়েছে। তারা বিভিন্নভাবে জানিয়েছে, এর বাইরেও অনেক বাংলাদেশি রয়েছে। আমরা মনে করছি, সংখ্যাটি পাঁচ শর মতো হতে পারে। ’
প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, ‘বাংলাদেশিদের বিষয়টি আমরা পোল্যান্ড পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে জানিয়েছিলাম। তারা বলেছে, সত্যিকারের অর্থে যদি প্রয়োজন হয় তাহলে তারা জরুরি ভিত্তিতে ভিসার ব্যবস্থা করবে। তবে সেটি বাস্তবায়ন শুরু হয়নি। ’
শাহিরয়ার আলম বলেন, ‘গতকাল বৃহস্পতিবার সকালেই আমরা পররাষ্ট্র দপ্তরে খোঁজ করেছি। যে আড়াই শর মতো বাংলাদেশি ইউক্রেন থেকে পোল্যান্ডে আসতে চায় তাদের যেন অন অ্যারাইভাল ভিসা (আগমনী ভিসা) দেওয়া হয়। ’