ইউরোপে ২০২২ সালে অস্ত্র আমদানি দ্বিগুণ

ইউরোপে ২০২২ সালে অস্ত্র আমদানি দ্বিগুণ

পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : ইউক্রেন যুদ্ধ বিশ্ব ব্যবস্থায় বড় পরিবর্তন এনে দিয়েছে। যে ইউরোপ ছিল যুদ্ধবিমুখ, সেই ইউরোপে এখন অস্ত্র আমদানি দ্বিগুণ হয়েছে। আর এর নেপথ্যে কাজ করেছে ইউক্রেন যুদ্ধ। অস্ত্রের চালানে এখন ইউরোপ বিশ্বের বৃহত্তম গন্তব্য হয়ে উঠেছে। সোমবার প্রকাশিত এক গবেষণায় এসব তথ্য উঠে এসেছে। ডিফেন্স পোস্ট, এএফপি।

স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (এসআইপিআরআই) প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পোল্যান্ড এবং নরওয়েসহ ইউরোপীয় রাষ্ট্রগুলোর সামরিক ব্যয় ত্বরান্বিত হয়েছে। এ কারণে আগের বছরের তুলনায় অস্ত্র আমদানি লাফিয়ে ৯৩ শতাংশ বেড়েছে।

গবেষকরা মনে করছেন, ইউরোপে অস্ত্র আমদানির হার আরও বাড়তে পারে। এসআইপিআরআই-এর সিনিয়র গবেষক পিটার ওয়েজম্যান এএফপিকে বলেন, যুদ্ধের ফলে ইউরোপে অস্ত্রের চাহিদা উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি পেয়েছে, যা আরও প্রভাব ফেলবে। ইউরোপীয় রাষ্ট্রগুলো আরও অস্ত্র আমদানি বাড়াবে।

খবরে বলা হচ্ছে, গত বছর পর্যন্ত ইউক্রেন ছিল অস্ত্রের নগণ্য আমদানিকারক। কিন্তু ২০২২ সালে দেশটি কাতার এবং ভারতকে ছাড়িয়ে গেছে। বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অস্ত্র বাণিজ্যের গন্তব্য এখন ইউক্রেন। কারণ পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়ার আক্রমণের পরে অস্ত্র সরবরাহ অব্যাহত রেখেছে।

এসআইপিআরআই-এর তথ্য অনুযায়ী, ইউরোপে অস্ত্র আমদানির ৩১ শতাংশই এখন ইউক্রেনের দখলে, যা বিশ্বব্যাপী অস্ত্র আমদানির আট শতাংশ। ইউক্রেনের আমদানি, অনুদানসহ গত বছর অস্ত্র আমদানি ৬০ গুণেরও বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে।

ইউক্রেনে সরবরাহ করা অস্ত্রগুলো সবই মূলত মজুদ করা গুদাম থেকে পাঠানো হয়েছে। ইউক্রেনে যুক্তরাষ্ট্র থেকে গেছে প্রায় ২৩০টি আর্টিলারি অস্ত্র, পোল্যান্ড দিয়েছে ২৮০ সাঁজোয়া যান। তাছাড়া ৭ হাজারের বেশি ব্রিটিশ অ্যান্টি-ট্যাঙ্ক মিসাইল পেয়েছে ইউক্রেন।

ওয়েজম্যান বলেন, ইউরোপীয় রাষ্ট্রগুলো সাবমেরিন থেকে শুরু করে যুদ্ধ বিমান, ড্রোন, অ্যান্টি-ট্যাঙ্ক মিসাইল কিংবা রাইফেল থেকে রাডার ইতোমধ্যে আমদানির জন্য অর্ডার দিয়েছে। সবকিছুর মূলে রয়েছে, দেশগুলো সামরিক প্রযুক্তিকে শক্তিশালী হতে চায়। গত পাঁচ বছরে (২০১৮-২০২২) ইউরোপীয় অস্ত্র আমদানি আগের পাঁচ বছরের তুলনায় ৪৭ শতাংশ বেড়েছে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *