২৭শে জুন, ২০২২ খ্রিস্টাব্দ , ১৩ই আষাঢ়, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ , ২৬শে জিলকদ, ১৪৪৩ হিজরি
পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রা দ্বীপের উপকূলে আজ শুক্রবার একটি শক্তিশালী এবং অগভীর ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। এতে অন্তত ২ জন নিহত এবং ২০ জন আহত হয়। সুমাত্রা দ্বীপ এবং প্রতিবেশী মালয়েশিয়া এবং সিঙ্গাপুরে ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে। এপি, গ্লোবাল নিউজ।
মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা জানিয়েছে, ভূমিকম্পটি ৬.২ মাত্রার ছিল এবং পশ্চিম সুমাত্রা প্রদেশের পাহাড়ি শহর বুকিটিংগির প্রায় ৬৬ কিলোমিটার বা ৪১ মাইল উত্তর ও উত্তর-পশ্চিমে ছিল এর কেন্দ্রস্থল। ভূপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১২ কিলোমিটার বা ৭.৪ মাইল গভীরে এর অবস্থান ছিল।
ন্যাশনাল ডিজাস্টার মিটিগেশন এজেন্সির প্রধান সুহরিয়ানতো বলেছেন, পশ্চিম পাসামান জেলায় অন্তত দু’জন নিহত হয়েছে, এলাকাটি উপকেন্দ্রের সবচেয়ে কাছের। এছাড়া অন্তত ২০ জন আহত হয়েছে, কারণ কয়েক ডজন বাড়ি ও ভবন ধসে পড়েছে। ভূমিকম্পের কারণে অন্যান্য জেলায় ভূমিধসও হয়েছে।
ইন্দোনেশিয়ার মেটিওরোলজি, ক্লাইমাটোলজি এবং জিওফিজিক্যাল এজেন্সির প্রধান দ্বিকোরিতা কর্নাবতী বলেছেন, সুনামির কোনো আশঙ্কা নেই। তবে সম্ভাব্য আফটারশকের বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে। টেলিভিশনের প্রতিবেদনে দেখা গেছে, শক্তিশালী কম্পন পশ্চিম সুমাত্রা প্রদেশের রাজধানী পাডাং-এর রাস্তায় আতঙ্কিত লোকদের স্রোত। পশ্চিম পাসামানের ভবন থেকে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিতে দেখা গেছে।
প্রতিবেশী মালয়েশিয়া ও সিঙ্গাপুরের মানুষও কম্পন অনুভব করেছে বলে জানা গেছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচারিত একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, কুয়ালালামপুওে কয়েক সেকেন্ডের কম্পনে বাসিন্দারা রাস্তায় নেমে পড়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা তাদের দরজা-চেয়ার কাঁপতে দেখেছেন এবং দেয়ালে ছবি ও পেইন্টিং কাঁপতে দেখেছেন।
পশ্চিম পাসামান জেলার প্রধান হামসুয়ার্ডি বলেছেন, শুক্রবারের ভূমিকম্পে তার অফিসসহ কয়েক ডজন বাড়িঘর ও ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কর্তৃপক্ষ এখনও ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় ক্ষয়ক্ষতির পূর্ণ মাত্রার তথ্য সংগ্রহ করছে।
২০২১ সালের জানুয়ারিতে পশ্চিম সুলাওয়েসি প্রদেশে ৬.২ মাত্রার একটি ভূমিকম্পে কমপক্ষে ১০৫ জন নিহত এবং প্রায় ৬ হাজার ৫০০ মানুষ আহত হয়। ইন্দোনেশিয়ার বেশ কয়েকটি অঞ্চল ভূমিকম্প এবং আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের ঝুঁকিতে রয়েছে।
২০০৪ সালে একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প ভারত মহাসাগরের তলদেশে আঘাত হানে। এতে প্রবল সুনামি হয় ১২টি দেশে। এতে প্রায় ২ লাখ ৩০ হাজার মানুষ মারা যায়। এদের বেশিরভাগই ছিল ইন্দোনেশিয়ায়।