২৯শে মে, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ , ১৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ , ৮ই জিলকদ, ১৪৪৪ হিজরি
পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : ধূমপান শরীরের জন্য ক্ষতিকর। দিনভর রোজা রেখে ইফতার শেষ করেই ধূমপান আরও বেশি প্রভাব ফেলে শরীরে। মুসলিমগণ ধর্মীয় নির্দেশ মোতাবেক রোজা রাখলেও এর বেশ কিছু স্বাস্থ্যগত উপকারিতাও রয়েছে। পাশাপাশি রয়েছে মানসিক প্রশান্তি। তবে ইফতার শেষে ধূমপানের ফলে স্ট্রোক ও হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বেড়ে যেতে পারে।
সেন্টার ফর সাইকোট্রমাটোলজি অ্যান্ড রিসার্চের পরিচালক এবং জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ও মনোসামাজিক স্বাস্থ্য গবেষক ডা. রিফাত আল মাজিদ জনস্বার্থে ধূমপান প্রতিরোধে কিছু পরামর্শ দিয়েছেন, পাঠকদের জন্য তা-ই তুলে ধরা হলো।
ইফতার শেষে ধূমপান করায় শরীরের অ্যাসিডিটির সমস্যা বেড়ে যেতে পারে। ধূমপান পাকস্থলীর হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিডের ক্ষরণ বাড়িয়ে দেয়, যার ফলে গ্যাসট্রাইটিস বা পাকস্থলিতে প্রদাহ তৈরি হয়। এছাড়া ধূমপানের ফলে ফুসফুসের প্রদাহসহ নানবিধ শারীরিক সমস্যার ঝুঁকি বেড়ে যায়। সারাদিন রোজা রেখে ইফতারের পর ধূমপান করা শরীরের জন্য ভীষণ ক্ষতিকর। এটি স্ট্রোক ও হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়িয়ে দিতে পারে।
ধূমপান যিনি করেন তার যেমন স্বাস্থ্যঝুঁকি থেকে যায়। তেমনই পরোক্ষ ধূমপানের ফলে আশপাশে থাকা মানুষেরও স্বাস্থ্যহানি ঘটছে। যা একেবারেই কাম্য নয়। ধূমপান ত্যাগ করে নিজেকে এবং চারপাশের মানুষজনকেও সুস্থ রাখুন।
গবেষণা বলছে, আমিষ ও মাংসজাতীয় খাবার খাওয়ার পরেই মূলত ধূমপান বেশি উপভোগ্য হয়ে ওঠে। তাই ধূমপান ত্যাগ করতে চাইলে কিছু দিন বেশি করে ফলমূল ও শাকসব্জি খেতে পারেন। নিয়মিত শরীরচর্চা করুন। নিয়মিত শরীরচর্চার অভ্যাস ধূমপান করা থেকে আপনাকে বিরত রাখবে।
যিনি ধূমপান ত্যাগ করার চেষ্টা করছেন তিনি রমজান মাসজুড়ে বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করতে পারেন। যেমন- আত্মীয়-স্বজনদের সঙ্গে দেখা করা, ইফতার বা সেহরির খাবার তৈরিতে সহায়তা করা এবং বেশি ইবাদাত করা। এসব কাজ তাকে ব্যস্ত রাখতে সাহায্য করে যা ধূমপান ছাড়তে সহায়ক।
বেশি বেশি পানি পান, ইফতারের পর হাঁটতে যাওয়া এবং এমন মানুষ যারা ধূমপান করে তাদের এড়িয়ে চলা। এ বিষয়গুলো আপনাকে সাহায্য করতে পারে।
আমরা ধর্মীয় কারণে রোজা রাখলেও এর বেশ কিছু স্বাস্থ্যগত উপকারিতা রয়েছে। পাশাপাশি রয়েছে মানসিক প্রশান্তি। আপনার পুরো মাসে ধূমপানের পেছনে যে টাকা ব্যয় হয়, রোজার মাসে সেই টাকা দান করে দিন। এতে বাড়তি মানসিক প্রশান্তি পাশাপাশি ধূমপান ছাড়ার অনুপ্রেরণা বাড়বে।
ধূমপান ত্যাগ করা সহজ বিষয় নয়। এটি ছাড়তে হলে একজনের অবশ্যই একটি দৃঢ়সংকল্প এবং পরিকল্পনা দরকার। আর এই প্রক্রিয়া শুরু করার জন্য রমজান মাস আপনার জন্য বাড়তি সুযোগ।