পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : মুসলিম বিশ্বের অন্যতম গবেষক ও বিশ্লেষক আবু ফারাগ ইবনে আল-জাওজির (১১২৬-১২00 খ্রীঃ) একটি বইয়ের ১৬ শতাব্দীর সংস্করণটি পাচার হওয়ার আগেই কায়রো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আটক করা হয়েছে। মিসরের জাতীয় দৈনিক আরহাম পত্রিকা এমন একটি তথ্য প্রকাশ করেছে।
জানা যায়, ১৫ অক্টোবর সোমবার দেশ থেকে উৎখাত হওয়ার আগেই প্রাচীণ এ সংস্করণটি আটক করে কায়রো পুলিশ।
মিসরের কায়রো আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে অবস্থিত প্রত্নতাত্ত্বিক ইউনিটের সেন্ট্রাল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন-এর প্রধান হামিদ হামাম জানান, পাণ্ডুলিপিটি কায়রো আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর কাস্টমস বিভাগে এক যাত্রীর লাগেজ থেকে উদ্ধার করা হয়। ধারণা করা হয় যে, বিমানের এই যাত্রী মুসলিম বিশ্বের অন্যতম গবেষক ও বিশ্লেষক আবু ফারাগ ইবনে আল-জাওজির প্রাচীণ এ সংস্করণটি পাচার করছিল।
কায়রো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের প্রত্নতাত্ত্বিক ইউনিটের পরিচালক আলী রমজানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বইটি ইবনে আল-জাওজির ইতিহাস এবং ঐতিহাসিক মিরর টাইমসের শিরোনাম সিরিজের একটি অংশ।
সূত্রে জানা যায়, বইটি প্রত্নত্বত্ত মন্ত্রণালয়কে হস্তান্তর করার জন্য ইসলামিক আর্টের যাদুঘরে পাঠানো হবে। পরে তদন্ত সমাপ্তির জন্য পুনরায় এটিকে বাইরে অানা হতে পারে।
উল্লেখ্য, সলিম বিশ্বের অন্যতম গবেষক ও বিশ্লেষক আবু ফারাগ ইবনে আল-জাওজি ১১২৬ সালে বাগদাদের এক উচ্চমধ্যবিত্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতামাতা সে যুগের সব প্রধান বিষয়েই তাদের পুত্রকে পুঙ্খানুপুঙ্খ শিক্ষা দিতে শুরু করেছিলেন। ইবনে আল-জাওজি তার সময়ে উল্লেখযোগ্য পণ্ডিতদের অধীনে জ্ঞানচর্চা করার সৌভাগ্য অর্জন করেছিলেন। আল-জাওজি তার পড়াশুনায় অন্যান্য পণ্ডিতদের দ্বারা ব্যাপক প্রভাবিত হতে শুরু করেছিলেন, কিন্তু তিনি কখনো ব্যক্তিগতভাবে তাদের সাথে দেখা করেননি। যেমন আবু নুয়াইম(১০৩৮), খতিব আল-বাগদাদি(১০৭১), এবং হাম্বলী মাযহাবের বিশিষ্ট পণ্ডিত, চিন্তাবিদ ইবনে আকিল(১১২০), ইবনে আল-জাওজি যাকে তার পরবর্তী লেখাগুলোতে প্রশংসা ও সমালোচনা করেছিলেন।
১১৭৯ সাল পর্যন্ত ইবনে আল-জাওজি একশত পঞ্চাশটি পুস্তিকা রচনা করেছিলেন এবং একই সাথে বাগদাদে পাঁচটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করেছেন। প্রখ্যাত ইসলামী চিন্তাবিদ ইবনে আল-জাওজি সত্তর মতান্তরে চুয়াত্তর বয়সে ইন্তেকাল করেন।
মিসরের কায়রো আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে অবস্থিত প্রত্নতাত্ত্বিক ইউনিটের সেন্ট্রাল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন-এর প্রধান হামিদ হামাম জানান, পাণ্ডুলিপিটি কায়রো আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর কাস্টমস বিভাগে এক যাত্রীর লাগেজ থেকে উদ্ধার করা হয়
অনুবাদ ও গ্রন্থনা : কাউসার মাহমুদ
সম্পাদনা : মাসউদুল কাদির
তথ্যসূত্র : ডেইলি আরহাম, মিসর