পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : নতুন ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) কেনা ও রক্ষণাবেক্ষণ সংক্রান্ত উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব (ডিপিপি) পর্যালোচনা করে ব্যয় কমিয়ে পরিকল্পনা কমিশনে পাঠিয়েছে নির্বাচন কমিশন। প্রায় এক হাজার ৭১১ কোটি টাকা ব্যয় কমানো হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে একাধিক সূত্র। এর আগে নির্বাচন কমিশন প্রকল্প প্রস্তাবে ব্যয় ধরেছিল আট হাজার ৭১১ কোটি টাকা। ওই প্রস্তাব পুনরায় পর্যালোচনা করতে পরিকল্পনা কমিশন নির্বাচন কমিশনে ফেরত পাঠিয়েছিল।
নির্বাচন কমিশন (ইসি) থেকে এখন কোন খাতে ব্যয় কত কমেছে তার সুনির্দিষ্ট তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে এটুকু নিশ্চিত হওয়া গেছে, সব মিলিয়ে প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় সাত হাজার কোটি টাকা। মূলত ইভিএম রাখার গুদাম নির্মাণ ও জনবল খাতে ব্যয় কমানো হয়েছে বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে সঙ্গে কথা বলতে রাজি হননি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। তবে আজ অনুষ্ঠেয় জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (একনেক) নির্বাহী কমিটির সভায় প্রকল্পটি উপস্থাপন করা হতে পারে বলে মনে করছেন খাতসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। যদিও একনেকের কার্যতালিকায় এই প্রকল্প নেই।
সম্প্রতি এই প্রকল্পের পরিচালক কর্নেল সৈয়দ রাকিবুল হাসান বলেন, ‘পরিকল্পনা কমিশন ব্যয় সংকোচনসহ বেশ কিছু বিষয়ে পর্যবেক্ষণ তুলে ধরেছে। ইসির প্রয়োজনীয়তার নিরিখে সুপারিশগুলো মিলিয়ে দেখা হচ্ছে। পরিকল্পনা কমিশনের সুপারিশ ও ইসির প্রয়োজন সমন্বয় করে নতুনভাবে প্রকল্পটি পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হয়েছে।’