ইভ্যালির চেয়ারম্যান-এমডির বিদেশ ভ্রমনে নিষেধাজ্ঞা

ইভ্যালির চেয়ারম্যান-এমডির বিদেশ ভ্রমনে নিষেধাজ্ঞা

পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. রাসেলের বিদেশ ভ্রমনে নিষেধাজ্ঞা জারি করে চিঠি পাঠিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক। পুলিশের বিশেষ শাখা এসবি’র কাছে পাঠানো চিঠিতে দুজনের পাসপোর্ট নম্বর (বি-০০০২৪৯৭৬ ও বি ০০০২৪৯৭৮) উল্লেখ করে তাদের বিদেশ গমনে বাধা দিতে বলা হয়েছে। দুদকের দায়িত্বশীল একজন কর্মকর্তা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

শুক্রবার (৯ জুলাই) দুদক সূত্র জানায়, ইভ্যালির বিরুদ্ধে আগে থেকেই তাদের কাছে একাধিক অভিযোগ নথিভুক্ত হয়েছিল। সম্প্রতি বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে ইভ্যালির আর্থিক অনিয়ম খতিয়ে দেখতে দুদক চেয়ারম্যানের কাছে একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে। ওই চিঠি পাওয়ার পর দুদকের পক্ষ থেকে দুই সদস্যের একটি অনুসন্ধান কমিটি গঠন করা হয়। দুদকের সহকারী পরিচালক মামুনুর রশীদ চৌধুরীকে প্রধান করে গঠিত কমিটির অপর সদস্য হলেন সহকারী উপ-পরিচালক মুহাম্মদ শিহাব সালাম।

দুদকের একজন কর্মকর্তা জানান, অনুসন্ধানের শুরুতেই গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তারা জানতে পারেন যে, ইভ্যালির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাসেল গোপনে বিদেশ যাওয়ার চেষ্টা করছেন। এই তথ্যের ভিত্তিতে দুদকের পক্ষ থেকে বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা জারির চিঠি ইস্যু করা হয়।

দুদক সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি তারা বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে ইভ্যালির আর্থিক অনিয়ম খতিয়ে দেখা প্রসঙ্গে একটি চিঠি পেয়েছেন। ওই চিঠির সূত্র ধরেই অনুসন্ধান শুরু করা হয়েছে। অনুসন্ধানে ইভ্যালি গ্রাহকদের কাছে অগ্রিম টাকা নিয়ে কী করেছে, তা জানার পাশাপাশি এসব অর্থ মানিলন্ডারিং করে কোথাও পাচার করা হয়েছে কিনা তা জানার চেষ্টা করবে। গ্রাহকের অর্থ পাচার করা হলে ইভ্যালির বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিং আইনে মামলা দায়ের করা হবে।

গত ৪ জুলাই বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে দুদকে পাঠানো চিঠিতে ইভ্যালি গ্রাহকদের কাছ থেকে প্রচুর পরিমাণে পণ্যের অর্ডারের নামে অগ্রিম অর্থ গ্রহণ করলেও তার বিপরীতে তাদের সম্পদ অনেক কম। এছাড়া মার্চেন্টদের কাছেও তাদের শত কোটিরও বেশি অর্থ দেনা রয়েছে। গ্রাহক ও মার্চেন্টদের মিলিয়ে মোট তিনশ’ কোটি টাকার কোনও হদিস পাওয়া যাচ্ছে না। এসব অর্থ আত্মসাৎ বা পাচার করা হয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে অনুরোধ করা হয়।

দুদকের একজন কর্মকর্তা জানান, এর আগে দুদকের কাছে গ্রাহক পর্যায়ের কিছু অভিযোগ জমা পড়েছিল। কিন্তু সেসব অভিযোগে সুনির্দিষ্টভাবে কিছু উল্লেখ ছিল না। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে অনুসন্ধান শুরু করা হচ্ছে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *