ওয়ার্ল্ড ডেস্ক : ইরাক ও সিরিয়ায় জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের তথা আইএসের পতন ঘটে ২০১৭ সালে। তবে এক বছরের মাথায় আরও ভয়ঙ্কর নীতি নিয়ে ফিরে আসছে এ জঙ্গিগোষ্ঠীটি। ২০১৪ সালের জুলাইয়ে ইরাকের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর মসুল দখলের মাধ্যমে আইএসের উত্থান ঘটে।
এরপর দখল করে নেয় ইরাক ও সিরিয়ার বিশাল অঞ্চল। আন্তর্জাতিক সামরিক জোটের প্রচেষ্টায় তিন বছরের মাথায় পতন ঘটে স্বঘোষিত খেলাফত রাষ্ট্রটির। যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার বিমান হামলা, তাদের সমর্থনপুষ্ট ইরাক ও সিরিয়ার সরকারি ও বিদ্রোহী অন্যান্য গোষ্ঠীর বহুমুখী আক্রমণে আইএস মধ্যপ্রাচ্যে পর্যুদস্ত হয়। তবে পরাজয়ের এক বছরেরও কম সময়ের মধ্যে আইএস সংশ্লিষ্ট উত্তর-পশ্চিম সিরিয়ার এক মিলিশিয়া গোষ্ঠী নতুন একটি বাহিনী গড়ে তোলার লক্ষ্যে পুনরায় জড়ো হচ্ছে।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম আল-মাসদার নিউহ এক প্রতিবেদনে বলেছে, ২০১৪ সালের প্রথম দিকেই সিরিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের প্রদেশ ইদলিব ও আলেপ্পো থেকে আইএস নিজেদেরকে সরিয়ে নিলেও জুনদ আল আকসা নামে একটি মিলিশিয়া গোষ্ঠীকে এ অঞ্চলে রেখে যায়।
গত কয়েক বছর ধরে এ গোষ্ঠীটি জাবহাত আল-নুসরা ফ্রন্ট, আহরার আল-শাম এবং ফ্রি সিরিয়ান আর্মির পাশাপাশি লড়াই চালিয়ে আসছে। জুনদ আল-আকসার শত শত যোদ্ধা এখন আনসার আল তৌহিদ নামে নতুন একটি বাহিনী গঠন করছে। নিজেদের আরও ‘মডারেট’ বা উদার হিসেবে পরিচিত করতে আইএস তাদের বাহিনীর নতুন নতুন নামকরণ করে থাকে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা।
আইএস ২০১৪ সালের জুনে তাদের কথিত খেলাফতের ঘোষণা দেয়। সিরিয়ার রাকাকে রাজধানী ঘোষণা করে। পার্শ্ববর্তী ইরাকের মসুল শহরকে ঘোষণা করে দ্বিতীয় রাজধানী। অতি দ্রুত তারা সিরিয়া ও ইরাক দখল করে এবং একটা সময়ে এ দু’দেশের বিরাট অঞ্চল তাদের নিয়ন্ত্রণে চলে যায়, যেখানে এক কোটি লোকের বাস।