ইসরাইলের হামলায় গাজায় নিহত ১৬ হাজার ২৪৮

ইসরাইলের হামলায় গাজায় নিহত ১৬ হাজার ২৪৮

পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : ইসরাইলি বাহিনীর বর্বরতায় গাজায় এ পর্যন্ত ১৬ হাজার ২৪৮ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। নিহত এসব ফিলিস্তিনিদের মধ্যে নারী ও শিশুর সংখ্যাই প্রায় ১২ হাজার। খবর আল-জাজিরার। এছাড়া টানা প্রায় দুই মাস ধরে চলা এ আগ্রাসনে আহত ফিলিস্তিনিদের সংখ্যা পৌঁছেছে প্রায় ৪৪ হাজারে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজা উপত্যকায় ইসরাইলি হামলায় নিহত ফিলিস্তিনিদের সংখ্যা ১৬ হাজার ২৪৮ জনে পৌঁছেছে বলে অবরুদ্ধ এ ভূখণ্ডটির সরকারি মিডিয়া অফিস মঙ্গলবার জানিয়েছে।

অফিসটি এক বিবৃতিতে বলেছে, নিহত এসব ফিলিস্তিনিদের মধ্যে ৭ হাজার ১১২ জন শিশু এবং ৪ হাজার ৮৮৫ জন নারী রয়েছেন। এছাড়া ইসরাইলি হামলায় আহত হয়েছেন আরও ৪৩ হাজার ৬১৬ জন।

গাজার এই মিডিয়া অফিসের মতে, ভূখণ্ডটিতে এখনও প্রায় ৭ হাজার ৬০০ জন নিখোঁজ রয়েছেন। তারা হয় ধ্বংস হয়ে যাওয়া ভবনের ধ্বংসস্তূপের নিচে আছেন বা তাদের ভাগ্য ঠিক কী ঘটেছে তা এখনও অজানা।

গত ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন আন্তঃসীমান্ত হামলার পর থেকে ইসরাইল গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। ইসরাইলি এই হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে।

মাঝে হামাসের সঙ্গে এক সপ্তাহব্যাপী মানবিক বিরতির পর গত শুক্রবার থেকে গাজা উপত্যকায় পুনরায় বিমান ও স্থল হামলা শুরু করে ইসরাইল। বিরতির পর শুরু হওয়া এই অভিযানে গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় খান ইউনিস শহরকে লক্ষ্য করেই মূলত হামলা চালিয়ে যাচ্ছে দখলদার সেনারা।

এ পরিস্থিতিতে গাজা উপত্যকায় নির্বিচার হামলা এবং বেসামরিক ফিলিস্তিনিদের ওপর পরিকল্পিত গণহত্যা চালানোর অভিযোগ তুলে ইসরাইলের তীব্র সমালোচনা করেছেন কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি।

তিনি বলেছেন, অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় নিরীহ ফিলিস্তিনি বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে ইসরাইল পরিকল্পিতভাবে গণহত্যা চালাচ্ছে। শিগগিরই গাজায় পূর্ণাঙ্গ ও স্থায়ী যুদ্ধবিরতির আহ্বানও জানিয়েছেন তিনি।

মঙ্গলবার দোহায় উপসাগরীয় সহযোগিতা পরিষদের (জিসিসি) শীর্ষ সম্মেলনের উদ্বোধনী বক্তৃতায় ইসরাইলের কঠোর সমালোচনা করে কাতারের আমির বলেন, ইসরাইলের দখলদার বাহিনী সব ধরনের রাজনৈতিক, নৈতিক ও মানবিক মূল্যবোধ লঙ্ঘন করেছে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *