ইসরায়েলি আগ্রাসন বন্ধ হলেই কেবল বন্দি বিনিময়ে আলোচনা : হামাস

ইসরায়েলি আগ্রাসন বন্ধ হলেই কেবল বন্দি বিনিময়ে আলোচনা : হামাস

পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : ফিলিস্তিনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস বলেছে, ইসরায়েলি আগ্রাসন বন্ধ না হলে বন্দি বিনিময়ে কোনও আলোচনা হবে না। বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) এক বিবৃতিতে এই অবস্থান তুলে ধরেছে গাজার শাসক গোষ্ঠীটি। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।

হামাসের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ফিলিস্তিনিরা একটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আর তা হলো, আগ্রাসন পুরোপুরি বন্ধ না হলে বন্দিদের নিয়ে বা বন্দি বিনিময়ে কোনও আলোচনা হবে না।

গাজায় হামাস ছাড়াও কয়েকটি সশস্ত্র গোষ্ঠী সক্রিয় রয়েছে। এদের মধ্যে একটি হলো ইসলামিক জিহাদ। গাজায় তাদের হাতেও কয়েকজন ইসরায়েলি জিম্মি রয়েছে।

এর আগে বুধবার হামাসের রাজনৈতিক প্রধান ইসমাইল হানিয়াহও সাফ জানিয়েছেন, অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের আগ্রাসন পুরোপুরিভাবে বন্ধ না করলে কোনও প্রকার আলোচনা হবে না।

মিসরের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতির আলোচনায় অংশ নিতে হানিয়াহ কায়রো অবস্থান করছেন। তার মিডিয়া উপদেষ্টা তাহের আল-নোনো রয়টার্সকে বলেছেন, গাজায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযান স্থায়ীভাবে শেষ না করা এবং ফিলিস্তিনি বেসামরিকদের জন্য মানবিক সহায়তা বৃদ্ধি না করা পর্যন্ত আরও ইসরায়েলি জিম্মি মুক্তির বিষয়ে কোনও প্রকার আলোচনা করতে ইচ্ছুক নয় হামাস।

মিসরীয় কর্মকর্তাদের উদ্ধৃত করে ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল জানিয়েছে, কয়েক ডজন জিম্মির বিনিময়ে এক সপ্তাহের জন্য যুদ্ধ বন্ধ করার ইসরায়েলি প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে হামাস।

৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরায়েলে আকস্মিক হামলা চালায় ফিলিস্তিনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। এ হামলায় ইসরায়েলে এক হাজার ২০০ নাগরিক নিহত হন। এসময় ২৪০ জনকে জিম্মি করে নিয়ে যায় হামাস যোদ্ধারা। ওইদিনই গাজায় পাল্টা হামলা চালায় ইসরায়েল সেনাবাহিনী। ১০ সপ্তাহ ধরে চলমান ইসরায়েলি আগ্রাসনে এ পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২০ হাজার ছাড়িয়েছে। তাদের মধ্যে নারী ও শিশুর সংখ্যাই ১৪ হাজারের বেশি। এর মধ্যে এক সপ্তাহের অস্থায়ী যুদ্ধবিরতি ও ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তির বিনিময়ে শতাধিক জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে হামাস। এখনও গাজায় শতাধিক ইসরায়েলি জিম্মি রয়েছেন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *