পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম: শনিবার থেকে শুরু হওয়া ফিলিস্তিনের গাজাভিত্তিক স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস ও ইসরায়েলের যুদ্ধ গড়িয়েছে পঞ্চম দিনে। চলমান এ যুদ্ধে এখন পর্যন্ত দুই পক্ষের ২১৫০ মানুষ মারা গেছে।
বুধবার এ খবর জানিয়েছে আল জাজিরা ও বিবিসি।
যুদ্ধ পঞ্চম দিনে প্রবেশের পাশাপাশি নিহত ফিলিস্তিনিদের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯৫০ জনে, জানিয়েছে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। নিহতদের মধ্যে ২৬০ জন শিশু এবং ২৩০ জন মহিলা রয়েছে। এ ছাড়া অবরুদ্ধ অঞ্চলটিতে ইসরায়েলি বিমান হামলা অব্যাহত থাকায় ৪৫০০ জনেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছে।
এ ছাড়া ফিলিস্তিন রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি এবং ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে পশ্চিম তীরে মারা গেছে জন এবং ১৩০ জন আহত হয়েছে।
অন্যদিকে ইসরায়েলি মৃতের সংখ্যাও বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২০০ জনে।
এদিকে মঙ্গলবার জাতিসংঘে ফিলিস্তিনি দূত রিয়াদ মনসুর গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের বোমাবর্ষণ এবং সম্পূর্ণ অবরোধকে “গণহত্যার চেয়ে কম কিছু নয়” বলে মন্তব্য করেছেন।
জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে এক চিঠিতে তিনি বলেন, “একটি ক্ষুধার্ত জাতিকে আত্মসমর্পণ করার জন্য বোমা মারা এক ধরনের নির্মম, অমানবিক। তাদের জাতীয় অস্তিত্বকে মুছে ফেলা গণহত্যার চেয়ে কম কিছু নয়।”
রিয়াদ আরও বলেন, “এই কাজগুলি যুদ্ধাপরাধের শামিল”।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ক্রমাগত ইসরায়েলি বিমান হামলার ফলে গাজায় ইতিমধ্যে আড়াই লাখের বেশি বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। জাতিসংঘের হিসেবে গাজার এখন পর্যন্ত ২ লাখ ৬০ হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। এবং এক লাখ ৭৫ হাজার মানুষ ৮৮টি জাতিসংঘের স্কুলে আশ্রয় নিয়েছে। ইসরায়েলের বিমান হামলা অব্যাহত থাকায় এসব মানুষের সংখ্যা বাড়ছে।
এদিকে গাজার দক্ষিণে ও মিশরের মধ্যবর্তী অঞ্চলে অবস্থিত রাফাহ ক্রসিং সীমান্তও বিমান হামলার শিকার হয়েছে। এর পরও হাজার হাজার ফিলিস্তিনি ইসরায়েলি সতর্কতার মধ্যেও ভূখণ্ড ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে।