৩রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ , ২০শে মাঘ, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ , ১১ই রজব, ১৪৪৪ হিজরি
পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : ফিলিস্তিনের ইসলামী জিহাদ আন্দোলনের বীরত্বপূর্ণ প্রতিরোধের মাধ্যমে তাদের অবস্থান ও মর্যাদার ব্যাপক উন্নয়ন ঘটেছে। এই সংগঠনের মহাসচিব জিয়াদ আল-নাখলাহ’র চিঠির জবাবে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী এ মন্তব্য করেন।
একইসঙ্গে তিনি বলেন এই প্রতিরোধের মাধ্যমে ইহুদিবাদী ইসরাইলের সকল ষড়যন্ত্র নস্যাৎ হয়ে গেছে এবং তাদের অবস্থা নাকে খত দেওয়ার মতো। ফিলিস্তিনি সকল গোষ্ঠীর ঐক্যে প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়ে সর্বোচ্চ নেতা বলেন: দখলদার শত্রুরা ক্রমশ দুর্বল হচ্ছে,পক্ষান্তরে ফিলিস্তিনিদের প্রতিরোধ শক্তিশালী হচ্ছে।
চিঠিতে জিয়াদ আন-নাখালা জানান, গাজা এবং পশ্চিম তীরসহ সমগ্র ফিলিস্তিনে ইসলামি জিহাদ আন্দোলন এবং আল-কুদসের সামরিক শাখার ব্যাপক উপস্থিতি ছিল উল্লেখ করার মতো। সাম্প্রতিক তিন দিনের সংঘর্ষকে তিনি ‘রণাঙ্গনের ঐক্য’ বলে অভিহিত করেন। যেসব শত্রু এই জাতীয় ঐক্য বিনষ্ট করার চেষ্টা করবে তাদের বিরুদ্ধে সর্বশক্তি ব্যবহার করার ওপর জোর দেন আন-নাখালা। একথা বলে তিনি মূলত ইহুদিবাদী ইসরাইলকেই বুঝিয়েছেন। তারাই ফিলিস্তিনের জেহাদি ও প্রতিরোধ সংগঠনগুলোর মাঝে ফাটল ধরানোর চেষ্টা চালাচ্ছে।
গাজাসহ জেহাদ আন্দোলনের বিভিন্ন অবস্থানে তিন দিন ধরে ইহুদিবাদীরা যে হামলা চালিয়েছে তার জবাব দিয়েছে সংগঠনটি। তারাও তেলআবিবসহ অধিকৃত ফিলিস্তিনের বিভিন্ন অবস্থানে শত শত ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। এর মধ্য দিয়ে জেহাদ আন্দোলন যে ইসরাইলি আগ্রাসনের মোকাবেলায় শক্তিশালী প্রতিরোধ গড়ে তোলার ক্ষমতা রাখে তারও প্রমাণ মিলেছে। বলাই বাহুল্য যে ইসলামি জেহাদের প্রতিরোধের মুখে ইহুদিবাদী ইসরাইল মাত্র তিন দিনের মাথায় যুদ্ধ বিরতিতে যেতে বাধ্য হয়েছে।
সর্বোচ্চ নেতা এ সম্পর্কে বলেন, সাম্প্রতিক ঘটনা ফিলিস্তিনের ইসলামী জিহাদ আন্দোলনের সম্মানকে দ্বিগুণ করেছে এবং ফিলিস্তিনি জাতির গৌরবময় প্রতিরোধ আন্দোলনে ইসলামী জিহাদের অবস্থানকে সমুন্নত করেছে। আপনারা বীরত্বপূর্ণ প্রতিরোধের মাধ্যমে দখলদার ইহুদিবাদী শত্রুদের প্রতারণামূলক নীতিকে নস্যাৎ করে দিয়েছেন।
সর্বোচ্চ নেতা আরও বলেন: আপনারা প্রমাণ করেছেন প্রতিরোধ ফ্রন্টের প্রতিটি শাখা একাই শত্রুদেরকে নাকে খত দেওয়াতে সক্ষম। আপনারা গাজার জিহাদের সঙ্গে পশ্চিম তীরের জিহাদ ও অন্যান্য প্রতিরোধ শক্তিকে সংযুক্ত করে ঐক্যবদ্ধভাবে ঘৃণ্য দখলদারদের ধূর্তামি ও কারসাজি নস্যাৎ করতে সক্ষম হয়েছেন। ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের সর্বত্র ফিলিস্তিনি সংগঠনগুলোর মধ্যে এই ঐক্য বজায় রাখার চেষ্টা থাকতে হবে বলেও সর্বোচ্চ নেতা চিঠির জবাবে উল্লেখ করেন।’
ইরান যথারীতি দখলদার জালেম শক্তির বিরুদ্ধে মজলুম ফিলিস্তিনীদের সমর্থন দিয়ে যাবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।