ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে বহিরাগত প্রবেশ নিষিদ্ধ

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে বহিরাগত প্রবেশ নিষিদ্ধ

পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : কুষ্টিয়ায় অবস্থিত ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বহিরাগত প্রবেশ নিষিদ্ধ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। ক্যাম্পাসের ‘নিরাপত্তা স্বার্থে’ নেওয়া এ সিদ্ধান্তের বিষয়টি আজ মঙ্গলবার সকাল থেকে মাইকিং করে ক্যাম্পাসে প্রচার করা হচ্ছে।

গতকাল বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থীকে স্থানীয় বখাটেরা মারধর করে বলে অভিযোগ ওঠে। চলন্ত মোটরসাইকেল থেকে ফেলে দিয়ে তাঁদের ওপর হামলা করা হয়। এ ঘটনার প্রতিবাদে সন্ধ্যা সোয়া ছয়টা থেকে রাত পৌনে ১০টা পর্যন্ত কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়ক অবরোধ করে রাখেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।

এ ঘটনার পর আজ সকাল থেকে ক্যাম্পাসে মাইকিং করে বলা হচ্ছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তার স্বার্থে আজ থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ক্যাম্পাসে বহিরাগত প্রবেশ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হলো। বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যয়নরত ছাত্রছাত্রীদের সার্বক্ষণিক নিজ নিজ পরিচয়পত্র সঙ্গে রাখতে হবে। এ নির্দেশ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এ বিষয়ে আজ সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর শাহাদৎ হোসেনের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন ধরেননি। ক্যাম্পাস সূত্রে জানা গেছে, গতকাল দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের মফিজ লেকে কিছু শিক্ষার্থী আড্ডা দিচ্ছিলেন। এ সময় শেখপাড়া এলাকার বখাটেরা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে থাকা বান্ধবীদের ভিডিও মুঠোফোনে ধারণ করে। এর প্রতিবাদে তাঁরা ভিডিও ডিলিট করতে বললে উভয় পক্ষের তর্কাতর্কি হয়। একপর্যায়ে বখাটেরা চলে যায়।

বিকেল পাঁচটার দিকে দুই শিক্ষার্থী শেখপাড়া বাজার এলাকায় মোটরসাইকেলে তেল নিতে গেলে তাঁদের ওপর চড়াও হয় সেই বখাটেরা। চলন্ত মোটরসাইকেল থেকে ফেলে এলোপাতাড়ি মারধর করে। এতে তাঁরা আহত হন। এ ঘটনা জানাজানি হলে সন্ধ্যা সোয়া ছয়টা থেকে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকসংলগ্ন কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়ক অবরোধ করেন। তাঁরা বহিরাগতমুক্ত ক্যাম্পাস, শিক্ষার্থী হামলার বিচার, নিরাপদ ক্যাম্পাসসহ তিন দফা দাবি নিয়ে এ বিক্ষোভ করেন। এতে উপস্থিত ছিলেন ক্যাম্পাসের পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থী। তাঁরা সড়কের দুই দিকে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেন।

পরে অবরোধকারীরা সড়ক ছেড়ে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে গিয়ে বিক্ষোভ করেন। শিক্ষার্থীদের দাবি, হামলায় জড়িত বখাটেদের গ্রেপ্তার করতে হবে। পরে প্রশাসনের আশ্বাসে তাঁরা ফিরে যান।

আহত দুজনের মধ্যে একজনকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁর নাম মেহেদী হাসান। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের ম্যানেজমেন্ট বিভাগের শিক্ষার্থী। অপরজন জাহিদ একই শিক্ষাবর্ষের ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের শিক্ষার্থী।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *