নিজস্ব প্রতিবেদক : সড়কে ভোগান্তি, ভারি বর্ষাসহ নানা কারণে আসছে ঈদে রেলের প্রতিই একটু বেশি ঝুঁকবে বাড়িফেরা মানুষ। তারই প্রস্তুতিতে এরই মধ্যে ব্যস্ত সময় পার করছে রেল সংশ্লিষ্টরা। ঈদের আগে পাঁচদিন ও পরে সাতদিন দেয়া হবে বিশেষ ট্রেন। যুক্ত হচ্ছে অতিরিক্ত ইঞ্জিন ও বগি। এছাড়া যেকোনো অনাকাক্সিক্ষত পরিস্থিতি মোকাবেলায় রেলওয়ে প্রস্তুত থাকবে বলেও জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী।
শুরু হয়নি আনুষ্ঠানিক ঈদযাত্রা। তবু রোজার শুরু থেকেই বাড়ছে রেলে চাপ। ঈদের চাপ এড়িয়ে চলতে যাদের সম্ভব হচ্ছে তারাই পরিবার পাঠিয়ে দিচ্ছেন বাড়িতে। সড়ক পথের বেহাল দশা তার ওপর বর্ষা মৌসুম। সব মিলিয়ে ঈদ যাত্রায় এবারো চাপ বেশি থাকবে রেলে।
তাইতো শেষ বেলায় রেলের ওয়ার্কশপগুলোতে কাজের চাপ। নতুন বগি তৈরি, পুরাতন বগি মেরামতসহ ঈদের জন্য ঝালাই করে নেয়া হচ্ছে ইঞ্জিন। স্বাভাবিক অবস্থায় রেলে প্রতিদিন গড়ে ২ লাখ ৭০ হাজার যাত্রী চলাচল করে আর ঈদে তা বেড়ে হয় সাড়ে তিন লাখ, আর শেষ তিন দিনে এই সংখ্যা আরো কয়েকগুণ বেড়ে যায়। চলমান ১৬০টি কোচের সঙ্গে অতিরিক্ত যুক্ত হবে আরো ১০টি কোচ। ঈদের আগের ও পরের ১০ দিন পূর্বাঞ্চলে ২৪টি ও পশ্চিমাঞ্চলে ২৩টি বিশেষ ট্রেন। এরমধ্যে রয়েছে ঈদের দিন সকালে শোলাকিয়ায় বিশেষ সার্ভিস। চাপ সামলানোর পাশাপাশি যেকোনো অনাকাক্সিক্ষত পরিস্থিতি মোকাবিলায় থাকছে কুইক রেসপন্স টিম। বৃহস্পতিবার সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে বৈঠক শেষে আগাম টিকিটের দিনক্ষণ জানাবেন রেলমন্ত্রী।